জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শালিনীর চক্রান্ত ধুলোয় মিশিয়ে জাতীয় ফাইনালে বাজিমাত! জিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করলো ফুলকি!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) এখন একেবারে ক্লাইম্যাক্স মুহূর্তে। ছোট শহরের এক সাধারণ মেয়ের অসাধারণ লড়াই, বক্সিং-এর জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছে দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন—এই সবকিছুই মিলেমিশে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্বে। ফুলকির জীবনে আসে বহু চ্যালেঞ্জ, বহু বাঁধা, কিন্তু প্রতিবার সে ঘুরে দাঁড়ায় আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রমের জোরে। জীবনের গুরু এবং সঙ্গী রোহিত, যিনি নিজেও এক সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বক্সার ছিলেন, ফুলকির এই লড়াইয়ে তার সবচেয়ে বড় ভরসা।

গত পর্বগুলোতে দেখানো হয়েছে, জাতীয় বক্সিং ফাইনালের আগেই বড়সড় ধাক্কা খায় ফুলকি। শালিনী, যে ফুলকির জীবনে বারবার সমস্যা সৃষ্টি করে চলেছে, সে এবারও ফুলকি কে হারানোর জন্য পরিকল্পনা করে। ইচ্ছাকৃতভাবে ফুলকির প্রোটিন ড্রিঙ্কে এমন কিছু উপাদান মেশানো হয় যাতে ফুলকির ওজন এক কেজি বেড়ে যায়। এই ওজন বাড়ার ফলে জাতীয় ফাইনালের জন্য নির্ধারিত ওজন সীমা ছাড়িয়ে যায় ফুলকি। প্রশ্ন ওঠে, সে আদৌ খেলতে পারবে কি না। তবে এই বিপদের মধ্যেও রোহিত ফুলকির পাশে থাকে এবং জানায়, এক কেজি ওজন কমানো কঠিন হলেও সম্ভব।

ফুলকি, phulki, জি বাংলা, zee Bangla

এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই ফুলকি শুরু করে এক নতুন লড়াই। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় এক কেজি ওজন কমাতে সে শুরু করে কঠোর পরিশ্রম। সকালে হাঁটা, বিকেলে জিম ট্রেনিং, রাতে নিয়ন্ত্রিত ডায়েট—সবকিছু মিলিয়ে সে নিজের শরীরকে প্রস্তুত করে জাতীয় ফাইনালের জন্য। ফুলকির এই অধ্যবসায়, মনের জোর আর আত্মবিশ্বাসে মুগ্ধ দর্শকরা এক নিঃশ্বাসে দেখে গিয়েছেন তার এই যাত্রা। শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও রোহিতের সহায়তায় সে তৈরি হয়ে ওঠে জাতীয় মঞ্চের জন্য।

ফুলকি আজকের পর্ব ২২ এপ্রিল (phulki today episode 22 april)

আজকের পর্ব শুরু হয় জাতীয় মঞ্চে ফুলকির প্রবেশ দিয়ে। ওজন নিয়ন্ত্রণে এনে সে রিংয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। প্রতিটি রাউন্ডে তার লড়াই, তার ঘাম, তার অধ্যবসায়—সব মিলিয়ে যেন পর্দায় জীবন্ত হয়ে ওঠে এক বীরাঙ্গনার কাহিনি। ফুলকি রিংয়ে প্রতিপক্ষকে জবাব দেয় নিজের কৌশল আর সাহসের জোরে। অবশেষে ফুলকি সেই ম্যাচ জিতে যায়, এবং সবার চোখে জল এনে দিয়ে প্রমাণ করে দেয়, ইচ্ছা শক্তির কাছে কোনো ষড়যন্ত্র টিকতে পারে না।

পর্বের শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, শালিনীর মুখে হতাশা আর অবিশ্বাস। সে যেন নিজের কানেই বিশ্বাস করতে পারছে না যে এত কিছুর পরেও ফুলকি জিতে গেল। অন্যদিকে রোহিতের চোখে গর্বের জল, পরিবারের মুখে আনন্দের হাসি—কারণ আজ ফুলকি শুধু খেলেনি, সে দেশের হয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছে। এক সময় যে মেয়ে শুধু স্বপ্ন দেখত, আজ সেই ফুলকি দেশের গর্ব, এবং তার এই জয় প্রমাণ করে দিল—লড়াই করলেই সম্ভব, থেমে না থাকলেই সাফল্য নিশ্চিত।

Piya Chanda