জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ফুলকির উপর হামলা! আবারো পুরনো শত্রুর চাল! জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছে রুদ্র, রহস্যময় কাগজে লেখা কোন সত্যি?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) হলো ফুলকি দাস নামের একটি মেয়ের বক্সার হয়ে ওঠার সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প। ছোটবেলা থেকেই অনেক বাধা অতিক্রম করে নিজের স্বপ্নের দিকে একধাপ করে এগিয়ে চলেছে ফুলকি। এই ধারাবাহিকে ফুলকির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘দিব্যাণী মণ্ডল’ (Devyani Mondal) এবং নায়কের ভূমিকায় রয়েছেন ‘অভিষেক বসু’ (Abhishek Bose)। ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই টিআরপি তালিকায় বেশ পোক্ত জায়গা ধরে রেখেছে এবং বর্তমানে নতুনত্ব চমকে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ফুলকির আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা গেল, জাতীয় স্তরে জয়ী হয়ে ফিরে আসা ফুলকির জন্য অশোকনগর এর সবাই মিলে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আয়োজন করে। ফুলকি সেখানে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। রোহিতকে সে বলে, “এসবের কি দরকার ছিল বলুন তো?” উত্তরে রোহিত বলে, “তুমি নিজেও জানো না তুমি কি করেছো, তুমি দেশের জন্য পদক জিতে এনেছো! এইটুকু তার জন্য কিছুই না।” ফুলকিও বলে রোহিতকে ছাড়া সে কোনদিনও এই কাজ সম্ভব করতে পারতো না। তাই আজকের দিনটা যেমন তার জন্য, তেমন রোহিতের জন্যও।

ফুলকি, Phulki, zee Bangla, জি বাংলা

এরপর সঞ্চালক লাবণ্যকে মঞ্চে ডাকে বাকি সঞ্চালনা করার জন্য এবং সম্মাননা জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। লাবণ্য প্রথমেই রোহিতকে মঞ্চে ডাকে ফুলকির শিক্ষক হিসাবে সব সময় তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য যে সম্মানটুকু তার প্রাপ্য সেটা দেওয়ার জন্য। এরপর ফুলকিকে মঞ্চে ডাকা হয় এবং তাকে সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য ডাকা হয় জেঠিমণিকে। ধানু নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে না পেরে ফুলকিকে বলে, “তুমি দেখতে পাচ্ছ কে তোমাকে সম্বর্ধনা দিতে চলেছে আমি তো ভাবতেই পারিনি এটাও কোনদিন হবে না।

” উত্তরে ফুলকি বলে, “আমার সব সময় বিশ্বাস ছিল এটা হবেই।” সম্বর্ধনা পর্ব শেষ হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় ফুলকি। সেখানে সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কিভাবে তাকে এক রাতের মধ্যে নিজের ওজন কমিয়ে লড়াইতে টিকে থাকতে হয়েছে। ফুলকি ও জানায় যে তার নিজের উপর সবসময় বিশ্বাস ছিল আর মাথার উপর মা কালী ছিল, তাই ভারতের বিরুদ্ধে যে কুকথা বলেছে তাকে দুটো ঘুষি বেশি মারতে পেরেছে সে। এরপর সবাই নাচে গানে হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠে।

ফুলকির উদ্দেশ্যে রোহিত গান গেয়ে মঞ্চ মাতির তোলে। এরপর ফুলকির বাবা অনুরোধ করে ফুলকিকে নিয়ে গাড়িতে করে ঘুরতে যাবার জন্য। ফুলকি এক কথায় রাজি হয়ে যায় এবং তাড়াহুড়ো করে তার বাবার সাথে বেরিয়ে পড়ে। রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে ফুলকির বাবা জানায় তার কিছু কাজ আছে, মাল ডেলিভারি দিতে হবে সেটা না করে ঘুরতে যাওয়া সম্ভব না। ফুলকি তাতে আপত্তি করে না বরং হাসিমুখে বাবার সাথে চলে যায়। রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী গাছ ফেলে আটকে রাখে তাদের পথ। ফুলকির বাবা গাড়ি দিয়ে বাইরে বেরোতে তারা হামলা করে।

ফুলকির মনে হতে থাকে, এটা কোনো পুরনো শত্রুর চাল নয় তো? গাড়ি থেকে নামতেই ফুলকির উপরেও হামলা হয়, বোঝা যায় এরা কোনো শত্রুর পাঠানো লোক না বরং ছিনতাইবাজ যারা গাড়ি আটকে মাল লুটপাট করতে চেয়েছিল। ফুলকি তার বক্সিংয়ের জোরে তাদেরকে শায়েস্তা করে সসম্মানে বাড়ি ফিরে আসে। অন্যদিকে জেলে রুদ্ররূপকে দেখানো হয় বাকি বন্দীদের সাথে জেলার খাওয়ার খেতে, সেখানেই অন্য এক বন্দী রুদ্রকে কিছু একটা কাগজ এনে দিয়ে বলে, “এটা যা তা কাগজ নয় স্যার। ফাইলের মধ্যে থেকে পেয়েছি।” এবার কি ছাড়া পেয়ে যাবে রুদ্র? ফুলকির জীবনে কি নতুন বিপদ?

Piya Chanda