জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে স্বপ্নের মধ্যে মায়ের ঘুমপাড়ানি গান শুনে কেঁদে ওঠে ফুলকি। রোহিত (Abhishek Bose) বোঝালেও, ফুলকি (Devyani Mondal) বুঝতে চায় না, সে বলে কিছু একটা হতে চলেছে। অন্যদিকে রুদ্রর (Sudip Sarkar) হাতে পড়ে ফুলকির মদুলির সেই কাগজ, যেখানে লেখা ফুলকির জন্ম রহস্য! এবার কি ফুলকির অতীত সবার সামনে? অবশেষে কি মাকে পেতে চলেছে ফুলকি?
‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রানী মা-এর বাড়িতে আসা নিয়ে উত্তেজিত রায়চৌধুরী বাড়ির সকলে। রানী মাকে কিভাবে আপ্যায়ন করবে, সেই নিয়ে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ঠিক সেই সময় কলিং বেল বেজে ওঠে, সবাই হকচকিয়ে যায় এত সকালে কে এলো? দরজা খুলতেই দেখা যায় রানীর সেক্রেটারি কিছু নিরাপত্তারক্ষী সহ উপস্থিত হয়েছেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রানী মা কোথাও যাওয়ার আগে তিনি এইভাবেই পর্যবেক্ষণ করে যান, যাতে রাণী মা-এর সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

এরপর সন্ধ্যে হতেই দেখা যায় রানী মা এসে পড়েছেন রায়চৌধুরী বাড়িতে, এবং সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন অনেক উপহার সবার জন্য। এতোকিছু দেখে সবাই ইতস্তত বোধ করলেও রানী মা জানান এটা তাদের বংশের রীতি। যখন কারোর বাড়িতে প্রথম যাওয়া হয়, তখন উপহার নিয়ে যেতে হয়। এরপর ফুলকিকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান তিনি এবং ধানুকে দেখে জিজ্ঞেস করেন সে অবিবাহিত কিনা। তারপর রানী মা প্রস্তাব রাখেন, তাঁর বড় ছেলে শ্রী আদিত্য নারায়ণের সঙ্গে ধানুর বিয়ের।
এই প্রস্তাবে সবাই অবাক হলেও খুব খুশি হয় মনে মনে যে এবার সত্যিই ধনুর সেই স্বপ্নের রাজকুমার এর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। রানী মা ছবি দেখান নিজের ছেলের, ধানু সেই ছবি দেখা মাত্রই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে ফেলে তাঁর সঙ্গে। লজ্জায় লাল হয়ে যায় ধানু। রানী মা খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে সবার মতামত জানতে চান, তাঁরা এই বিয়েতে রাজি কিনা? সবাই রাজি থাকলেও ধানুর মতামত জানতে চায় সকলে।
ধানুকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে লাবণ্য জিজ্ঞেস করে সে কি ভাবছে? রোহিত ধানুকে বলে আগে খোঁজ খবর নিয়ে তারপরই সিদ্ধান্ত নিতে, কারণ তাঁর ছেলেটিকে ভালো ঠেকছে না। কিন্তু ধানু বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। আর রানী মা ধানুকে আশীর্বাদ স্বরূপ একটা দামী সোনার হার পড়িয়ে দিয়ে যান এবং বলেন, “তুমিই হতে পারবে রাজমহলের একমাত্র উত্তরসূরীর যোগ্য বউ!” তিনি আরো বলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুভ কাজ করে ফেলতে।
আর রাজমহলের কুলদেবতা নৃসিংহ দেবের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, তাই রায়চৌধুরী বাড়ির সকলকেই তিনি আমন্ত্রণ জানান। রানী মা চলে যেতেই ফুলকি আর রোহিত উপহারগুলো দেখতে শুরু করে, ফুলকি রাজবাড়ি আর রানী মা নিয়ে উৎসাহী হলেও কোথাও যেন রোহিতের কিছু একটা অদ্ভুত লাগে। ফুলকি রোহিতকে বলে, “কে বলতে পারে, হয়ত গল্পের মতন এই রাজবাড়ির কোনও রহস্য আছে!”
অন্যদিকে সংশোধনাগারে রুদ্রের লোক সেই মাদুলির কাগজ নিয়ে হাজির হয়। কাগজটা খুলে দেখতেই রুদ্রর চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। কাগজটাতে লেখা, ‘কুলদেবতা নৃসিংহ দেবের আশীর্বাদ স্বরূপ এই জাতিকা রাজমহল এস্টেটের একমাত্র উত্তরাধিকারী রাজকন্যা, কুলদেবতা নৃসিংহ দেব জাতিকার সহায়।’ রুদ্রর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। পরদিন রায়চৌধুরীরা সকলে হাজির হন রাজবাড়িতে।
আরও পড়ুনঃ মিত্তির বাড়িতে নতুন নায়িকার আবির্ভাব! দর্শকদের দাবি মেনে জোনাকির চরিত্রে আসছে পরিবর্তন?
ছোট রানী মা ফুলকিকে নিয়ে যান কুলদেবতা নৃসিংহ দেবের কাছে। ঠাকুরের সামনে দাঁড়িয়ে ফুলকি মনের কথা জানায় —”জীবন তো সবই তো পেলাম, মা টাও যদি থাকত।” সেই মুহূর্তেই হাজির হন বড় রানী, এবং ফুলকিকে নিজের মেয়ে বলে ভাবতে থাকেন। আর বলেন, “আমি জানতাম তুই একদিন আসবি!” বড় রানী এসে ছোট রানী মা নিয়ে যায় বলে যে—”তোমাদের মেয়ে মারা গেছে আগেই!” কিন্তু ফুলকির সেই মহিলাকে খুব আপন বলে মনে হয়।