জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) ধারাবাহিকে পারুল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কলকাতায় আসে, ঘটনাচক্রে ইউনিভার্সিটিতে দেখা হয় রায়ানের সঙ্গে। এরপর ভাগ্যের ফেরে বিয়ে হয়ে যায় দুজনের। তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকলে দুজন দুজনকে স্বামী স্ত্রী বলে মনে না, বরং দুজনে ভিন্ন মত রাখে। রায়ানের জীবন আগে থেকেই উপস্থিতি ছিল প্রেমিকা শিরীনের। পারুল রায়ানের দ্বন্দ্বের মাঝেই হঠাৎ আবির্ভাব এক অজানা ব্যক্তির, যে রায়ানকে মারতে চায়। এই ব্যাক্তি কি অতীতের কোনও শত্রু?
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুলকে সেই ব্যক্তি জানায় কোন ঠিকানায় দেখা করতে চায় সে। সেই মতন পারুল রায়ানকে বলে পুলিশ আর সাংবাদিক নিয়ে পৌঁছে যেতে আগের থেকেই সেখানে, যাতে ওই ব্যাক্তি এলেই ধরে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া যায়। পারুলের এত সাহায্যের জন্য রায়ান তাকে ধন্যবাদ জানায়, কিন্তু পারুল প্রত্যাখ্যান করে বলে মানবিকতার খাতিরে সে এই সাহায্য করেছে।

অন্যদিকে সেই ব্যক্তি সেজে বসে থাকা তূর্য খুব খুশি, তাঁর প্ল্যান এবার কাজ করবেই! পারুলের ছবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তূর্য বলে, “তোমায় যে কি বলে ধন্যবাদ দেব সেটাই বুঝতে পারছি না, তুমি নিজেও জানো না আমার কত বড় উপকার করেছো।” অন্যদিকে দেখানো হয় গ্রামে মালতিকে রুক্মিণী দেখায় যে তাঁদের রান্নার ভিডিও হাজার হাজার দর্শক দেখেছেন এবং মন্তব্য করেছেন। এমনকি এবার সেখান থেকে পারিশ্রমিক বাবদ টাকাও পাবেন তারা।
রুক্মিণীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গোপাল বলে, “যতই দিন যায় তোমাকে নতুন করে চিনি। আমি একটি স্কুলের শিক্ষক হলেও তোমার মত মানুষের জন্য শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ে মানুষের।” রুক্মিনীর মাথায় হাত রেখে গোপাল এ কথা বলতেই রুক্মিণী লজ্জায় পড়ে যায়। অন্যদিকে পরের দিন সকালে রায়ান পুলিশ, সাংবাদিক ও তাঁর বন্ধুদের নিয়ে পৌঁছে যায় ব্লু মুন হোটেল। হোটেল রুমে তাঁরা যে যার মতন লুকিয়ে থাকে আর অপেক্ষা করতে থাকে সেই ব্যাক্তির। তূর্য এদিকে প্রস্তুতি জানতে পারুলকে ফোন করে।
ফোনে জিজ্ঞেস করে যে শ্রীতমার কিছু একটা হয়েছে সে খবর পেয়েছে, কিন্তু কি হয়েছে জানে না। পারুল সবটা গুছিয়ে বলে, যেভাবে ওই ব্যক্তির জন্য ফাঁদ পেতেছে আর কিভাবে তাঁকে ধরা হবে। তূর্য এবার কিছুটা আশ্বস্ত হয় যে তার প্ল্যান ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। আরেক দিকে বসু বাড়িতে ঠাম্মি অভিযোগ করতে থাকেন ছোট বৌমাকে তাঁর ছেলেকে এত খারাপ কথা শোনায় কেন। তাদের ঝগড়ার কারণে আজ তাঁকে না খেয়ে কাজে চলে যেতে হয়েছে।
পারুল এসে বৌদির কাছ থেকে জানতে পারে আগের দিন রাতের ঝগড়া নাম এটাই মনোজিত না খেয়ে কাজে চলে গেছে। পারুল ঠাম্মিকে কিছুটা আশ্বাস দিয়ে বলে যে ইউনিভার্সিটি যাওয়ার আগে সে নিজে গিয়ে সোনার দোকানে মনোজিতকে খাবার দিয়ে আসবে। অন্যদিকে সোনার দোকানে মনোজিতের কাছে একটা ফোন আসে, রাকার গলা করে তূর্য বলে সে খুব বিপদে পড়েছে, এক ব্যাক্তি তাকে হোটেলে নজরবন্দি করে রেখেছে।
কাউকে না জানিয়ে তাঁকে যেন ছোট কাকা (মনোজিত) উদ্ধার করে নিয়ে যায়। হন্তদন্ত হয়ে মনোজিত সেই মুহূর্তেই বেরিয়ে পড়ে হোটেলের উদ্দেশ্যে। পারুল ঠিক তারপরেই দোকানে মনোজিতের খাওয়ার নিয়ে এসে দাদুকে জিজ্ঞেস করে কি কারনে ছোট কাকা এত তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলেন? দাদু জানান তিনি কিছু জানেন না, একটা ফোন আসতেই সে এরম ভাবে বেরিয়ে গেছে। এরপর হোটেল রুমে ঢুকতেই মনোজিতকে পুলিশ, সাংবাদিক ঘিরে ধরে।
আরও পড়ুনঃ “ধন্যবাদ জানাই আমাদের পারিশ্রমিক না দিয়ে এত বড় একটা সামাজিক সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।”— ‘দুর্গাপুর জংশন’-এর সহ পরিচালক মধুবন্তী মুখার্জীর বিস্ফোরক অভিযোগ! মধুবন্তীর কথায় উঠে এলো টলিউডের অন্ধকার দিক!
পুলিশ একটা চড় মেরে মনোজিৎ কে গ্রেপ্তার করে। এইসব ঘটনার মধ্যে রায়ান রীতিমতো হতবাক, সে কিছুতেই কাউকে বোঝাতে পারে না যে তাঁর কাকা নির্দোষ! কিছু না বুঝতে পেরে পারুলকে ফোন করে সবটা জানায় সে, পারুল সবাইকে ঘটনাটা বলতেই ভেঙে পড়ে সবাই। পারুল তাড়াতাড়ি করে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বসু বাড়ির সম্মান এবার পারুলের হাতে, পারুল কি নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে ছোট কাকাকে? নাকি তূর্য নিজের প্ল্যানে আবারো সাকসেসফুল হবে?