চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল বিয়ে (Marriage) করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ‘অভিষেক বোস’ (Abhishek Bose) আর অভিনেত্রী ‘শার্লি মোদক’ (Sharly Modak)। তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল, কিন্তু ২৮ এপ্রিল ফুলকি ধারাবাহিকের পরিচালক কিছু ছবি সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ করতেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যায় সবার সামনে। ছবিতে অভিষেক আর শার্লিকে আইবুড়ো ভাত খেতে দেখা যায়। এরপরেই জানা যায় পরদিন, অর্থাৎ ২৯ তারিখ বিয়ে করছেন তাঁরা।
পরদিন চুপিসাড়ে সেরে ফেললেন বিয়ে। উপস্থিত ছিলেন পরিবার, বিশেষ কিছু বন্ধু বান্ধব এবং বাছাই করা সংবাদ মাধ্যম। ছিমছাম ভাবে একই দিনে আইনি বিয়ে, বিয়ের পার্টি সেরে ফেলেন দুজনে। কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে অনুরাগীদের উচ্ছাসের থেকে বেশি কটাক্ষ আসতে থাকে দুজনকে ঘিরে। প্রসঙ্গত অভিষেক এর প্রেম জীবন বরাবরই বিতর্কিত, একাধিক প্রেমে জড়িয়েছেন তিনি এমনই লিভ ইন পর্যন্ত করেছেন। অভিনেত্রী সুরভী মল্লিকের সঙ্গে শোনা গিয়েছিল একটা সময়ে বিয়ে হতে চলেছে।

হটাৎ করেই আলাদা হয়ে যান দুজনে, পরে খবর রটে যে সুরভীর এক বান্ধবী শার্লিকে মনে ধরেছে অভিষেকের তাই এমন সিদ্ধান্ত। এদিন তাঁদের বিয়ের পর সুরভী সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “আমি জানতাম, আমার ভগবান জানত আর এখন সবাই জানলো… কর্মফল ভোগ করার সময় এসে গেছে।” যদিও তিনি কারোর নাম উল্লেখ করেননি, তাও অনুরাগীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে কাদের উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য অভিনেত্রীর। আর অভিষেক এদিন নিজের সমাজ মাধ্যমের পাতায় এর প্রতিক্রিয়া দিলেন।
অভিষেক শার্লির সাথে বিয়ের ছবি স্টোরিতে দিয়ে লেখেন,”আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি। তোমার জন্য আমি মরতেও পারি, মারতেও পারি, আমি তোমার জন্য বেঁচে আছি। আমি শুধু তোমারই আর তোমার জীবনে যা কিছু বাধা আসবে, সব কিছু ঠিক করার দায়িত্ব নেব আমি। তুমি শুধু আমার, তুমিই আমার প্রকৃত ভালোবাসা। তুমি আমাকে দুনিয়ার সব বাজের থেকে দূরে রাখতে পারো। আমি ঈশ্বরের কাছে শপথ করে বলছি, যে বা যারা তোমার শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তাকে প্রথমে আমার মুখোমুখি হতে হবে।
আর সেটা কখনোই সহজ হবে না। সবশেষে বলবো, তুমি আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকার কারণ, আমার পাওয়া শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ, আমার জীবনসঙ্গিনী।” — এই লেখাটি দেখে কটাক্ষ যেন আরও বেড়েছে। অনেকেই অভিনেতার লোক দেখানো নিয়ে সমালোচনা করছে, তো আবার কেউ তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। একজন বলেছেন, ” পড়ে মনে হলো ঠিক যেন ক্লাস ১১-এর লাভ লেটার পড়ছি, কি যেন এখনকার সময়ে “টুরু লাভ” না কি যেন বলে? যখন পরিণত বয়স আসে, তখন মানুষ কম কথা বলে, বেশি কাজ করে।”

আবার কেউ বলেছেন, “যে যত সহজে এই কথাগুলো বলে, তার গভীরতা ততটাই কম হয়।বেশিরভাগ সময়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পড়ে গিয়ে সেটা টের পাওয়া যায়।” আবার অন্যজন বলেছেন, “পোস্টটা দেখে ভালো লাগলো, কিন্তু কিছু জিনিস গোপন রাখাই ভালো। সবার স্ত্রীই তাঁর স্বামীর কাছে অমূল্য, কিন্তু সেটা বারবার সোশ্যাল মিডিয়াতে শো-অফ না করাই ভালো বলে আমি মনে করি। অভিষেক দা একটু বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়েছেন, তবে সেটা স্বাভাবিক।
আরও পড়ুনঃ ‘মুখ বালিশে গুঁজে কেঁদেছি, কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তবুও হাল ছাড়েননি’—অপমান-ধাক্কা পেরিয়ে আজ সফল অন্বেষা ! তার জীবনের গল্প অনুপ্রাণিত করবে আপনাকেও
কিন্তু বারবার সবার সামনে আনাটা হয়তো ঠিক নয়, কারণ এতে নেগেটিভিটি আরও বাড়তে পারে। যদি আমি ভুল হয়ে থাকি, ক্ষমা করবেন।” শেষে একজন বলেছেন, “পোস্টটা দেখে ভালো লাগলো। কিন্তু এই অভিষেককে বিশ্বাস নেই, কোন মেয়ের প্রেমে পড়ে নিজের স্ত্রীকে কবে ডিভোর্স দিয়ে দেবে বলা যায় না।” সব মিলিয়ে সমাজ মাধ্যম এখন অভিষেক আর শার্লির বিয়ে নিয়ে উত্তাল।