জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পড়তে বসে পারুল ভাবতে থাকে তূর্যের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা আর পুলিশের তাঁদেরকে সতর্ক থাকতে বলার কথা। এমন সময় উপস্থিত হয় রায়ান, পারুলের পড়া নিয়ে মজা করতে থাকে সে। পারুল জানায় সে মোটেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেনা আর তাই লেখাপড়াতেও মন নেই তাঁর। রায়ান পারুলকে বলে, যদি পারুল না থাকত তাহলে তাঁদের বাড়ির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত।
রায়ান পারুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই বলে, “তুই যেভাবে সবটা ভুলে বারবার বিপদে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিস, সেটার জন্য এটা কিছুই নয়। আমি তোর পছন্দ বা অপছন্দ জানি না, তবে জানি তুই পড়াশোনা আর মিষ্টি, এই দুই পেলে কিছুই জানিস না।” এই বলেই রায়ান পারুলের দিকে বাড়িয়ে দেয় একটা উপহার আর সঙ্গে চকলেট। পারুল খুব খুশি হয় রায়ানের থেকে উপহার পেয়ে, কিন্তু সন্দেহের বশে রায়ানকে জিজ্ঞেস করে ফেলে সে কোনও মতলবে এই উপহার দিয়েছে কিনা?

রায়ান জানায় সে নিজের মন থেকেই এই উপহার দিয়েছে আর এর পেছনে কোনও উদ্দেশ্য নেই। রায়ানকে পারুল বলে, যে একা সে কিছুই করতে পারতো না, যদি না রায়ান তাঁর পাশে দাঁড়াতো। এই বলে পারুল চকলেটের অর্ধেক অংশ রায়ানকে দেয়। রায়ান জানায় উপহার হিসেবে রয়েছে একটা পেন। পারুল পেনটা দিয়ে খাতায় প্রথমে রায়ানের নাম লেখে, ঠিক সেই মুহূর্তেই রায়ান চলে আসতে পারুল লুকিয়ে ফেলে। কিন্তু রায়ানও নাছোড়বান্দা, সে ঠিক করে কি লিখেছে পারুল দেখেই ছাড়বে।
এরপর খাতাটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে গিয়ে একে অপরের উপর পরে যায় দুজনে। রায়ান হাত থেকে খাতাটা নিয়ে দেখে তাঁরই নাম লেখা! রায়ান পারুলকে জানতে চায় ভালোবেসে ফেলেছে নাকি সে? পারুল জানায় সে সবার নামই লিখতে চেয়েছিল আর এবার নিজের নামও লিখবে। রায়ান চলে যেতেই পারুল নিজের নামটাও লিখে দেয় একই পাতায়। পারুলের মনে রায়ানের প্রতি অনুভূতি তৈরি হতে দেখা যায়। অতীতের মুহূর্ত মনে করে নিজের অজান্তেই হাসতে থাকে সে।
অপরদিকে নেড়া গোয়ালে রুক্মিণী আর গোপাল মালতিকে নিয়ে স্কুলে ভর্তি করাতে যাবে ঠিক এমন সময় মালতির মাতাল স্বামী চঞ্চল আচমকাই সেখানে হাজির হয় আর মালতিকে বাড়ি নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় মনে তীব্র আঘাত পায় রুক্মিণী। অন্যদিকে মালতির স্বামী তাঁকে শারীরিক অত্যাচার করছে দেখে রুখে দাঁড়ান রুক্মিণী। রুক্মিণীর পাশে দাঁড়ান তাঁর স্বামী গোপাল। এরপর দেখানো হয় ব্রাইট মাইন্ডসে এবছরের রবীন্দ্র জয়ন্তী নিয়ে পরিকল্পনা তুঙ্গে।
রায়ানকে দেওয়া হয় নাটক নির্দেশনার দায়িত্ব। যেহেতু রায়ানের আগে থেকেই অভিনয়ের প্রতি একটা টান আছে আর একটা নাট্যদলও আছে, তাই প্রিন্সিপাল চায় রায়ান এই দায়িত্বটা নিক। ঠিক হয় রক্তকরবী নাটকটি করা হবে। অপরদিকে বাড়িতে পরিতোষ আর মনোজিত পারুল রায়ানের কথা বলতে থাকে, ঠিক এমন সময় উপস্থিত হয় দুজনেই। রায়ান জানায় ইউনিভার্সিটির নাটকের নির্দেশনার দায়িত্ব এবার তাঁর কাঁধে।
আরও পড়ুনঃ বয়স সবে মাত্র ১ বছর ৬ মাস! জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু শুভশ্রী কন্যা ইয়ালিনির, দারুণ খুশি মা-বাবা! জানলে শুভেচ্ছা জানাবেন আপনিও
এই কথা শুনে আনন্দে পরিতোষ তাঁকে জড়িয়ে ধরে। এরপর নাটকের প্রধান চরিত্র নন্দিনীর জন্য শিরীন রায়ানকে অনেক করে বোঝাতে থাকে কিন্তু রায়ান বলে তাঁর মনে নন্দিনীর যে মূর্তি আছে, তেমন কাউকে পেলে যে সেই সব চাহিদা পূরণ করবে তাঁকেই বানাবে সে নন্দিনী? আপনাদের কি মতামত পারুল এই চরিত্রের জন্য বেশি যোগ্য নাকি শিরীন? সব বাধা পেরিয়ে এবার কি কাছাকাছি আসছে রায়ান-পারুল?