জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকি রোহিতকে ফোন করে যা যা ঘটেছে সেখানে সবটা বলতে থাকে, অন্যদিকে ছোট কুমার দরজার আড়াল থেকে সবটা শুনে নেয়। ফুলকি রোহিতকে বলে যে রাজবাড়িতে সবাই কিছু না কিছু একটা রহস্যকে আড়াল করছে আর ছোট রানী একজন ভয়ংকর মানুষ, তিনি সামনে এক আর পেছনে আর এক। রোহিত কিছু বুঝতে না পেরে ফুলকিকে অনেক রাত হয়েছে বলে ঘুমিয়ে পড়তে বলে।
ছোট কুমার সব কথা শুনে খুব ভয় পেয়ে যায়, আর ঠিক করে ছোট রানীকে সবটা জানতে হবে। ছোট কুমার বলে এবার থেকে ফুলকিকে চোখে চোখে রাখতে হবে, নাহলে এক রাতে যা শুরু করেছে বেশিদিন আর কিছুই গোপন থাকবে না। এরপর সকাল হতেই রাজবাড়ি জুড়ে তোড়জোড় চলছে ধানু আর আদিত্যর বৌভাতের। রায় চৌধুরী বাড়ির থেকে সবাই এসে উপস্থিত হয় আর ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ফুলকি সবাইকে থামিয়ে বলে ধানু নিজে এতোবড় উকিল সে কেন নিজের দায়িত্ব নিজে নেবে না? ধানু এরপর বলে সেও দায়িত্ব নেবে রাজবাড়ির মান, সম্মান আর মর্যাদা রক্ষা করার। ফুলকি নিজের মনে বলে অন্যায় হচ্ছে জেনেও যেন ধানু দিদি কি পারবে এই কথা রাখতে। এরপর আদিত্য ধানুর সারাজীবনের দায়িত্ব নেয়। সবাই মিলে খুব আনন্দ, মজা করতে থাকে।
রোহিত ধানুকে আলাদা করে নিয়ে গিয়ে জানতে চায় সে ঠিক আছে কিনা, আদিত্য এসে আশ্বাস দেয় যে তাঁর বোনের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। অন্যদিকে ছোট কুমার রানী কে জানিয়ে দেয় যে ফুলকি কাল সবাইকে চন্দনার বিষয়টা জানিয়ে দিয়েছে, রানী আরও রেগে যান। ফুলকি এরপর রোহিতকে আগের দিনের ঘটনা সব খুলে বললেও রোহিত বিশ্বাস করতে চায় না। ফুলকি জোর করে বড় রানীর ঘরে নিয়ে যায় তাঁকে।বড় রানীর ঘরে ঢুকতে দেয় না দ্বাররক্ষী।
ফুলকি রোহিতকে বলে বাড়ির কোনও শুভ অনুষ্ঠানেই বড় রানীকে কেউ থাকতে দেয় না, অথচ ওনার মাথায় কোনও সমস্যা নেই আছে অনেক কষ্ট। ফুলকি বলে একদিন থেকেই সে এই বাড়ির অন্ধকার কতটা গভীর বুঝে গেছে। ফুলকি চায় বড় রানীকেও বৌভাতের অনুষ্ঠানে সামিল করাতে। রোহিত অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করে যে এটা ধানুর শ্বশুরবাড়ি তাই এখানে কোনও রকম পাগলামি না করতে, ফুলকি নিজের সিদ্ধান্তে অনড়।
আরও পড়ুনঃ ফিরে এলো দাদুর পুরোনো শত্রুর ছায়া! তপনের খোঁজে তূর্যের বাড়িতে হাজির পারুল-রায়ান! এবার কি তূর্যর খেলা শেষ? ‘পরিণীতা’তে আজকে টানটান পর্ব!
ফুলকি এক প্রকার ঠিক করেই নিয়েছে যে সব অন্যায় এবার বন্ধ করবে। রাতে বৌভাতের অনুষ্ঠান শুরু হতেই রোহিত আর ফুলকি বেরিয়ে পড়ে রহস্যের সমাধানে। বড় রাজার চোখে পড়তেই তিনি নিজের ঘরে ডেকে গল্প শুরু করেন। কথায় কথায় গুপ্ত পথের কথা ওঠে, আর তিনি বলেন এই পথগুলি তাদের অনেকবার বাঁচিয়েছে। ফুলকি অনুরোধ করে দেখতে আর তিনি রাজি হয়ে যান। দরজা খুলতেই দুজনে অবাক হয়ে যায়।