জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ছোট রাজা মশাই চলে যেতেই ফুলকি গুপ্ত সুড়ঙ্গের ভেতরে ঢুকে পড়ে। কিছুদূর যেতেই পথ শেষ হয়ে যায়, ফুলকি বুঝতে পারে না কি করবে। এমন সময় লক্ষ করে একটা হাতল! যেটা টানতেই খুলে যায় নতুন একটা পথ, যেটা দিয়ে বেরোতেই ফুলকি গিয়ে পৌঁছায় বড় রানীর ঘরে।
অন্যদিকে ছোট রানী এমনিতেই ক্ষুন্ন ফুলকির জন্য তাই রায়চৌধুরী বাড়ির সবাই ক্ষমা চান ফুলকির হয়ে। অনেকক্ষণ ফুলকি আর রোহিতকে দেখতে না পেয়ে সবাই খোঁজ শুরু করে, ঠিক সেই মুহূর্তেই ফুলকি বড় রানীকে নিয়ে হাজির হয় বৌভাতের অনুষ্ঠানে। ছোট রানীর মাথায় বাজ পড়ে, আরও রাগে ফুঁসতে থাকেন তিনি। বড় রানী আদিত্য আর ধানুকে আশীর্বাদ করেন সোনার বালা দিয়ে।

ছোট রানীকে রাগে বেরিয়ে যেতে দেখে ফুলকি জানায় যে সে অন্য রাস্তা দিয়ে বড় রানীকে নিয়ে এসেছে তাই কোনও পরিচারিকাকে চড় না মেরে, যদি ইচ্ছা হয় ফুলকিকে মারতে পারেন তিনি। ফুলকি সোজা ভাষায় জানিয়ে দেয় যে বড় রানীকে অযথা বন্দী থাকতে দেবেনা সে। এরপর ধানুর বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে সবাই বাড়ি ফিরে যায়, ফুলকিকে খুঁজে পাওয়া যায়না।
আরও পড়ুনঃ ছোট পর্দায় পা রাখতেই রাতারাতি সুপারস্টার! বড়পর্দায় একের পর এক ব্যর্থতা! আমার কারোর সাথেই কোনও প্রতিযোগিতা নেই, সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকতে ভালোবাসি, ওত কিছু চিন্তা করি না- অকপট আদৃত
এরপর জানা যায় চলে যাওয়ার আগে ফুলকি বড় রানীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। বড় রানীকে ফুলকি জানিয়ে দেয় সে আবার আসবে ধানু আর বড় রানীর জন্য, ছোট রানী মা যেনো কারোর সাথে অন্যায় অত্যাচার না করেন, ফুলকির অন্যায় পছন্দ না। রানী জানতে চায় ফুলকি কিভাবে বড় রানীর ঘরে গেল? ফুলকি বলে ছোট রাজা মশাই তাকে গুপ্ত সুড়ঙ্গের সন্ধান দিয়েছিল, সেখান থেকেই গেছে সে।
ছোট রানী এবার আরও রেগে যান, সিদ্ধান্ত নেন যে করেই হোক ফুলকির এই রাজবাড়িতে আসা আটকাতেই হবে। ছোট রাজাকেও অনেক উচু নিচু কথা শুনতে থাকেন তিনি। বাড়ি ফিরতেই সবাই ফুলকিকে সাবধান করে যে রাজবাড়ির ব্যাপার নিয়ে বেশি মাথা না ঘামাতে। কিন্তু ফুলকি বলে বড় রানীকে যোগ্য সন্মান সে ফিরিয়ে দেবেই। বড় রানীকে ফুলকি কথা দিয়েছে তাঁর হারিয়ে যাওয়া মেয়ে আর স্বামীকে খুঁজে এনে দেবে।