জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

সুস্মিতাকে‌ কাছে পেয়ে অতিরিক্ত বেশি মাত্রায় ‘স্প’র্শ’ করেছিলেন মিঠুন! শুটিং চলাকালীন আচমকা কেনো সেট ছেড়েছিলেন সুস্মিতা?

বড় পর্দায় রোম্যান্টিক দৃশ্য মানেই দর্শকদের কৌতূহল তুঙ্গে। কখনও তা ছবির সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি, আবার কখনও এই দৃশ্য ঘিরেই জন্ম নেয় নতুন বিতর্ক। সাধারণ দর্শকদের চোখে এই মুহূর্তগুলি যতটা মধুর, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পক্ষে ততটাই জটিল। আলোর ঝলকানির আড়ালে থেকে যায় এমন কিছু সত্য, যা একমাত্র শিল্পীরাই অনুভব করেন।

সিনেমার সেট মানেই যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র—খুব সহজ নয় সেখানে নিজের সত্তাকে পিছনে ফেলে চরিত্রে ঢুকে পড়া। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের সময় পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও জটিল। হাজারও চোখ তখন ঘিরে থাকে শিল্পীদের। ঠিক এমনই এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। যদিও দর্শক সেই মুহূর্তকে মনে রেখেছেন শুধুই রোম্যান্স হিসেবে, বাস্তবে কিন্তু পরিস্থিতি ছিল একেবারে আলাদা।

sushmita sen story 650 043015061535 1498138312

২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া মিঠুন চক্রবর্তী ও সুস্মিতা সেন অভিনীত ছবি ‘চিঙ্গারি’ একসময় চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। সমাজমাধ্যমে আজও ঘোরে মিঠুন-সুস্মিতার সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ক্লিপিংস। শোনা যায়, ওই দৃশ্যে অভিনয়ের পরই নাকি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সুস্মিতা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্যুটিংয়ের মাঝপথেই নায়িকা রেগে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান।

শোনা যায়, সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের সময় মিঠুন চক্রবর্তীর আচরণে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন সুস্মিতা সেন। অভিযোগ, ক্যামেরার সামনে দৃশ্যের প্রয়োজনীয়তার চেয়েও বেশি মাত্রায় ‘স্পর্শ’ করেছিলেন মিঠুন। যদিও এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে রয়েছে দ্বিমত। কেউ বলেন রটনা, কেউ বলেন বাস্তব। তবে ঘটনার পর থেকেই ছবির প্রচারে সুস্মিতাকে আর তেমন দেখা যায়নি।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পুরনো এই বিতর্ক এখন অতীত। সময় গড়িয়েছে, সুস্মিতা ও মিঠুনের সম্পর্কও বদলেছে। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, বর্তমানে তাঁদের মধ্যে কোনও তিক্ততা নেই। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তাঁরা। ‘চিঙ্গারি’ সিনেমার সেই একটি দৃশ্য ১৯ বছর পরেও দর্শকমনে প্রশ্ন তো তোলে, তবে সুস্মিতা ও মিঠুন সেই অধ্যায়কে অনেক আগেই পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন।

Piya Chanda