টিভির পর্দায় ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’—এই নামটাই আজ যেন ঘরের মেয়ের মতো। তাঁর কথায়, হাসিতে, সঞ্চালনায় যেন মিশে আছে বাংলার প্রতিটি পরিবারের একটুকরো আপনভবন। যাঁর অভিনয়ে বড় পর্দায় মুগ্ধ হয়েছেন লক্ষ লক্ষ দর্শক, আজ তিনি নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন একেবারে নতুন ভাবে। তাঁর জীবনের পথ যেন এখন অন্য খাতে বইছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বদলায়, বদলায় পছন্দ-অপছন্দ। ঠিক তেমনই বদল এসেছে রচনার জীবনেও।
আধুনিক নারীরা আজ আর শুধু সংসার বা চাকরির গণ্ডিতে আটকে নেই। নিজেদের মতো করে কিছু গড়ে তোলার চেষ্টায় আছেন অনেকেই। রচনাও তাঁদেরই একজন, যিনি শাড়ির ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা উদ্যোগে সফল হয়েছেন। টিভি সঞ্চালিকা হিসেবে তিনি যেমন সমাদৃত, তেমনই একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁর নতুন পরিচিতিও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। নিজের তৈরি ব্র্যান্ড ‘রচনাস ক্রিয়েশনস’-এর মাধ্যমে আজ তিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণা।

এক সাক্ষাৎকারে রচনা জানান, “শুরুটা সহজ ছিল না। সবাই বলছিল নিজের কিছু শুরু করতে। আমি ভেবেছিলাম, রেস্টুরেন্ট খুললে ঝামেলা বেশি, তাই এমন কিছু করতে হবে যা বাড়ি থেকেই সামলানো যায়। তখনই মাথায় আসে শাড়ির ব্যবসার কথা।” ধীরে ধীরে সেই উদ্যোগই আজ পরিণত হয়েছে একটি সফল ব্র্যান্ডে। অনেকেই তাঁর পণ্যের দাম নিয়ে নানা মন্তব্য করলেও অভিনেত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “পাঁচজন মানুষের বাজে কথা বলার থেকে নব্বইজনের ভালোবাসা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
তবে এখানেই থেমে থাকেননি রচনা। প্রশ্ন ওঠে, তিনি কি আবারও বড় পর্দায় ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকদিন ধরেই মুখে কুলুপ আঁটা ছিল রচনার। তবে এবার সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন স্বয়ং অভিনেত্রী। এক অকপট স্বীকারোক্তিতে তিনি জানালেন, “আমি আর ছবি করতে চাই না, অভিনয়ে ফিরতে চাই না। কারণ সময় নেই। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ সামলানো এবং এই ব্যবসার দায়িত্বের মাঝে আমার পক্ষে আর অভিনয় করা সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুনঃ মেধা আর পরিশ্রমেই বাজিমাত! সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরে সর্বভারতীয় স্তরে উঠে এলো ‘পূবের ময়না’র ‘ময়না’ ওরফে ঐশানী দে! এবার কি নিয়ে এগোনোর ইচ্ছা তার?
এই স্পষ্ট ঘোষণায় বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আর সিনেমার রূপোলি জগতে ফিরতে চান না। নিজেকে আজ তিনি খুঁজে পেয়েছেন অন্য ভূমিকায়—একজন সফল নারী উদ্যোক্তা ও দর্শকদের প্রিয় সঞ্চালিকা হিসেবে। অভিনয়ের অধ্যায় তাঁর জীবনে হয়তো ইতি টানল, কিন্তু রচনা ব্যানার্জি আজও বাংলার অন্যতম অনুপ্রেরণার নাম।