সম্প্রতি পর্দায় ফিরেছেন ‘মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়’ (Moushumi Chatterjee) দর্শকের মনে আবেগের স্রোত এনে বাংলা ছবি ‘আড়ি’ (Aari) তে। মা-ছেলের সম্পর্কের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ছবি ইতিমধ্যেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। পাশাপাশি ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে এবং পরিচালনায় রয়েছেন ‘যশ দাশগুপ্ত’ (Yash Dasgupta) ও ‘নুসরত জাহান’ (Nusrat Jahan)। এই ছবির প্রচারে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন যশ ও নুসরত, তখন আলোচনার মোড় ঘুরে গেল বাস্তবের ‘আড়ি’ আর ‘ভাব’ সম্পর্কের দিকে।
ছবির নাম থেকেই প্রশ্ন উঠল যে ইন্ডাস্ট্রির কার কার সাথে ‘আড়ি’? উত্তরে নুসরত স্পষ্ট জানালেন, তিনি সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতেই পছন্দ করেন। তবে যশ একটু ভিন্ন সুরে বললেন, সম্পর্ক সব জায়গায় সময়ের সঙ্গে বদলায়, এবং সেটা শুধু সিনেমার জগতেই নয়। তাঁর মতে, ইন্ডাস্ট্রি ছোট হলেও সম্পর্ক বড়োই জটিল একটা জিনিস। এক সময়ের বন্ধু তারাই পরে দূরে সরে যেতে পারেন, আবার খুব অপছন্দের মানুষটাও হটাৎ করে খুব ভালো বন্ধু হতে পারে আর এটাই বাস্তব।
এই প্রসঙ্গেই যশ আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন, যে কেবল গ্ল্যামারের জগতেই নয়, কর্পোরেট অফিস থেকে সাংবাদিক মহল—সব জায়গাতেই সম্পর্ক জটিলতা থাকে। কে কার সঙ্গে কথা বলছে না, কে আবার হঠাৎ করে মেলামেশা শুরু করল, এই পরিবর্তন সবক্ষেত্রেই থাকে। সম্পর্কের গতিপথ কখনই এক থাকে না, আর এই বাস্তবতাকেই তুলে ধরেছে তাঁদের এই ছবিও।
তবে এই প্রসঙ্গে নুসরাত আর যশ দুজনেই জানান বাইরের আর যে কারোর সাথে আড়ি হোক না কেন মা-বাবার সাথে হওয়া উচিত নয়। “কারণ পৃথিবীর সব মানুষ ছেড়ে চলে গেলেও সবসময়ে মা-বাবাকেই পাশে পাবেন, এটা আমি অভিজ্ঞতা থেকে বলছি” বললেন নুসরাত। যশ বললেন, “বাঙালি সবকিছুকেই খুব টেকেন ফর গ্র্যান্টেড নিয়ে নেয়, তার ফলেই জেনে শুনে আমরা ওই মানুষগুলোকে অবহেলা করি, সময় থাকতে তাদের মুল্য বুঝিনা।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের পর ভুয়ো নামে মেয়েদের সঙ্গে গল্প! অভিজিৎ সবন্তের স্বীকারোক্তিতে তোলপাড় নেটপাড়া!
কিন্তু আমাদের জানার বাইরে নয় যে কেউই চিরকাল থাকেন, এক না একদিন চলে যেতেই হয়। যারা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝছেন না, তাঁরা এখনই শিখুন নাহলে পরে পস্তাতে হবে।” জীবনের আসল সম্পর্কগুলোর যত্ন নেওয়ার বার্তাই পৌঁছে দিলেন যশ ও নুসরত, সিনেমার প্রচারের মঞ্চ থেকেও। আপনাদের যশ ও নুসরাতের ছবি কেমন লাগলো? আপনারাও কি সহমত যশ-নুসরাতের বক্তব্যের সাথে?