যতই নাম হোক, যশ হোক বা আকাশছোঁয়া সাফল্য, দিনের শেষে মানুষ খোঁজে একফোঁটা শান্তি। আর সেই শান্তি পাওয়া যায় একমাত্র পরিবারেই। অনেকেই হয়তো জীবনের গতিতে সেই শান্তিটুকু হারিয়ে ফেলেন, কিন্তু কেউ কেউ রয়েছেন, যাঁরা যত ব্যস্ততাই থাকুক, নিজের মাটির টানকে ভোলেন না। যাঁদের কাছে জনপ্রিয়তা যতই বড় হোক, পরিবারের গুরুত্ব তার চেয়েও বেশি।
‘সারেগামাপা’-এর মঞ্চ থেকে যাত্রা শুরু হলেও আজ অঙ্কিতা ভট্টাচার্য এক পরিচিত গায়িকা। একের পর এক গানের কাজ, শো—সব মিলিয়ে দিন-রাত কেটে যায় ছুটে বেড়ানোর মধ্যেই। তবুও তিনি আলাদা, কারণ নিজের জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষদের জন্য সময় বের করতে তিনি জানেন। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, নিজের গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের জন্য গড়ে তুলেছেন একটুকরো স্বপ্নের ঠিকানা।
ব্যস্ত শিডিউলের মাঝেই কয়েকদিন আগে এক বিশেষ পরিকল্পনা করেন অঙ্কিতা। তাঁর বাবা-মায়ের ২৪ তম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেন এক মিষ্টি চমক। কিন্তু বিষয়টি জানতেন না বাড়ির কেউ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোট পরিসরে হলেও আয়োজন ছিল মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।
কলকাতার অভিজাত জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে সেই সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। চোখ ধাঁধানো আয়োজন নয়, বরং মনের টানে গড়ে ওঠা মুহূর্তগুলোতেই ছিল সেদিনের আসল সৌন্দর্য। সেজে ওঠা সঙ্গীত, হাসিমাখা মুখ আর একটানা আলাপনে কেটে যায় সময়টা। বাবা-মায়ের চোখে তখন শুধুই গর্ব আর ভালবাসার ঝিলিক।
আরও পড়ুনঃ ভাড়া বাড়িতেও থাকার সামর্থ্য ছিল না, আজ কলকাতায় নিজের ঠিকানা গড়েছেন আরাত্রিকা! রাতারাতি স্টার নয়, লড়াই করে তৈরি করেছেন নিজের জায়গা! মেয়ের সাফল্যে গর্বিত মা, আরাত্রিকার সংগ্রামের গল্প ছুঁয়ে যাবে আপনার মন!
সেই সন্ধ্যার কিছু মুহূর্ত অঙ্কিতা ভাগ করে নেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। ১০ই মে ফেসবুকে একগুচ্ছ ছবির সঙ্গে লেখেন— ‘শুভ ২৪ তম বিবাহবার্ষিকী বাবা-মা। এমনভাবেই একসঙ্গে থেকো, হাসিখুশি থেকো সারাজীবন।’ তাঁর এই বার্তা থেকে স্পষ্ট, খ্যাতির শিখরেও তিনি ভুলে যাননি সেই প্রথম হাত ধরা মানুষগুলোর কথা। গানের পাশাপাশি জীবনের সুরেও অঙ্কিতা যেন বাজিয়ে চলেছেন এক নিখাদ সুরেলা গল্প।