জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পুলিশ স্টেশনে থেকে বাড়ি ফিরে ফুলকির সন্দেহ আরও বাড়ে, সত্যিই কি বড় রাজা মশাইয়ের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, নাকি এটা পূর্বপরিকল্পিত খুন? ইন্সপেক্টর স্বাগতা ফুলকিকে ফোন করে জানায় যে সেই দুর্ঘটনার লরি চালকের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম মোহন সিং, বীরভূমে থাকে এখন।
ফুলকি রোহিতকে বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের ওখানে পৌঁছাতে হবে, ওখানে গেলেই সব রহস্যের সমাধান হবে। অন্যদিকে ছোট রানী ছদ্মবেশে হাজির হয় রুদ্রর সাথে কথা বলতে সংশোধনাগারে। রুদ্র ছোট রানীকে ফুলকির মাদুলিতে থাকা সেই কাগজটা দিয়ে বলে, সে জানে আসল উত্তরাধিকারী কে আর কোথায় আছে কিন্তু তাকে জেল থেকে না বের করলে সে কিছুতেই মুখ খুলবে না।

ছোট রানী প্রথমে অবিশ্বাস করে রুদ্রকে, কিন্তু মনের মধ্যে জমে থাকা ভয়ের জন্য রাজি হয়ে যায়। বাড়ি ফিরতেই সীতারাম এসে রানীর সঙ্গে দেখা করে জানায় যে তাঁকে জেল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল কিন্তু সে কিছু বলেনি। রানী নির্দেশ দেন যে ওই লরি চালকের সাথে যেভাবে হোক যোগাযোগ করে পালিয়ে যেতে বলতে, সে ধরা পড়ে গেলে সব ফাঁস হয়ে যাবে।
পরদিন সকালে ফুলকি আর রোহিত পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মোহন সিংয়ের বাড়িতে যায়, অনেক ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খুলছে না দেখে রোহিত দরজা ভাঙতেই দেখে ভেতরে মোহনের স্ত্রী রয়েছেন, তিনি কিছুতেই বলেন না মোহন কোথায়। ফুলকির সন্দেহ হওয়াতে ছাদে যেতেই মোহনকে পাওয়া যায় জলের ট্যাংকে লুকিয়ে থাকতে। ফুলকি এরপর দুটো ঘুষি মারতেই সে সত্যিটা বলে দেয়, টাকার বিনিময়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় ঘরে এসেছিল জমজ লক্ষী! অবশেষে জনসমক্ষে দেবময়ের যমজ কন্যার মুখ! সাত মাস পর প্রথম প্রকাশ্যে এল খুদে দুই লক্ষ্মী!
মোহন জানায় সীতারাম টাকা দিয়ে মোহনাকে বড় রাজার গাড়িতে মারতে বলেছিল। ফুলকি আর রোহিত ফিরে এসে জানতে পারে রুদ্র যে সংশোধনাগারে বন্দী, সেখানে আগুন লেগেছে। লাবণ্যকে ভেঙে না পড়তে বলে ফুলকি জানায় তাঁরা আসছে। তাহলে কি ছোট রানী হাত মেলালো রুদ্রর সাথে? ফুলকির জীবনে জোড়া শত্রুর ভ্রূকুটি, কি করে সামলাবে সে? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।