জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“সবাই আমার গান শুনতে চায়, তবু আমায় দিয়ে গান গাওয়ানো হয় না”— রিমেক হয় তাঁর গান, বাজে পার্টিতে, তবু প্লেব্যাকে সুযোগ মেলেনা তাঁর! কষ্টের সুর কুমার শানুর কণ্ঠে!

বলিউডে সেই সময়ে চলছে রোম্যান্টিক গানের সোনালি যুগ, তখন একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ‘কুমার শানু’ (Kumar Sanu) । ‘দো দিল মিল রাহে’, ‘চুরাকে দিল মেরা’ থেকে শুরু করে ১৯৯০ এর ‘আশিকী’ (Aashiqui) ছবির হিট অ্যালবাম, তাঁর অসংখ্য গান আজও নস্টালজিয়ায় ভাসায় সঙ্গীতপ্রেমীদের। তাঁর গলায় যে আবেগ, যে সুরের গভীরতা, তা নিয়ে এখনও দর্শকরা প্রশংসা করেন। সময় বদলালেও কুমার শানুর গানের বর্তমান প্রজন্মের কাছেও সমান জনপ্রিয়।

যেই ইন্ডাস্ট্রি একসময় কুমার শানুকে মাথায় তুলে রেখেছিল, সেই বলিউড আজ যেন তাঁকে ভুলতে বসেছে। বিগত বহু বছর ধরে তাঁকে প্লেব্যাক করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ একাধিক পুরনো হিট গানের রিমেকে কুমার শানুর গলা এখনও ঘোরে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম রিল, কিংবা নতুন ছবিতে। তাহলে কেন তাঁকে নতুন গান গাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্তদের মনে।

সেই একই প্রশ্ন এবার নিজেই তুললেন গায়ক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে কুমার শানু বলেন, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাঁকে এখনও ভালোবাসেন। তাঁর গাওয়া গান আজও ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের গেয়ে থাকেন, তবু তাঁকে গাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না! এটাই তাঁকে ভাবায়। তাঁর বক্তব্য, “আমি তো এখনও গান গাই। অনুষ্ঠান করতে গেলেই দেখি আসন খালি থাকে না।

দেশ-বিদেশে যে কোনো জায়গায় আমি মঞ্চে উঠলেই দলে দলে দর্শক আসেন। তাহলে কেন নতুন ছবিতে আমাকে গান দেওয়ার কথা ভাবেন না সংগীত পরিচালকরা?” কুমার শানুর মতে, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই হয়তো ভেবে নেন, তাঁর সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তিনি নিজে সেটা মানতে নারাজ। কারণ তাঁর গান শোনার শ্রোতা আজও রয়েছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর গানের ভক্ত।

তাই হয়তো খানিকটা আক্ষেপের সুরেই তিনি বলেছেন, “ইন্ডাস্ট্রির লোকজন যদি শ্রোতাদের বুঝতে পারেন তো ভালো, নইলে সেটা তাঁদের দুর্ভাগ্য।” তাঁর বক্তব্য যেন শুধুই অভিমান নয় বরং গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে পক্ষপাতের ছায়া প্রকাশ পেয়েছে । তিনি বলেছে যে শুধু পুরনো স্মৃতিতে নয়, বর্তমানেও তাঁর কণ্ঠ আরও একবার বাজুক বড়পর্দায়। শ্রোতাদের ভালোবাসা পেলে ইন্ডাস্ট্রিও কি একদিন আবার ফিরিয়ে দেবে তাঁকে সেই আসন?

Piya Chanda