জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

রাজবাড়িতে গুরুজির রূপে লুকোনো আ’সামী! ছোট রানীর চোখের সামনেই ধরা পড়ল রুদ্র! সবার সামনে গুরুজির দাঁড়ি টেনে রুদ্রর মু’খোশ ছিঁ’ড়ে ফেলল ফুলকি! ফুলকি কি নিজের বিপদ বাড়িয়ে দিল?

জি বাংলার ‘ফুলকি’র (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় সংশোধনাগারে রুদ্রর কথার প্রতিবাদ জানাতে গেলে রোহিতকে গ্রেফতার করার হুমকি দিতে থাকেন পুলিশ অধিকারিক। ফুলকি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নিজের স্ত্রীয়ের অপমানের প্রতিবাদ করা অপরাধ নয় সে। সেক্ষেত্রে লাবণ্যকে নিজের ক্ষমতা দেখাতে বলে ফুলকি। ভয় পেয়ে পুলিশ অধিকারিক রোহিতকে ছেড়ে দেয়।

এদিকে ফুলকিরা সেখান থেকে চলে যেতেই রুদ্র জেলের মধ্যে লুকানো সুরঙ্গ পথ দিয়ে রাজমহলে প্রবেশ করে। একদিকে রোহিত রুদ্রর বলা কথা নিয়ে এখনো শান্ত হতে পারেনি আর অন্যদিকে ফুলকি জানায় তার সন্দেহ আরও বাড়ছে। কি করে একসাথে তিন জায়গায় একজন থাকতে পারে, কারণ তিনজনের চোখ হুবহু এক। সন্দেহর বসে ধানুকে ফোন করে সে জানতে চায়, গুরুজি এখন কোথায়। ধানু জানায় গুরুজি এই সময় যোগনিদ্রায় থাকেন।

Phulki, Zee Bangla Serial, Zee Bangla, Bengali Serial, New Episode, Upcoming Episode, Devyani Mondal, Abhishek Bose, Sudip Sarkar, Rudrarup Sanyal, ফুলকি, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, দিব্যানী মণ্ডল, অভিষেক বসু, সুদীপ সরকার, রুদ্ররূপ সান্যাল, নতুন পর্ব

তাই কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। অন্যদিকে চায়ের দোকানে রোহিত-ফুলকি বসেছিল, সেই সময়ই ফোন আসে কাজের জন্য রোহিতকে গোডাউনে যেতে হবে। রোহিত হাতজোড় করে ফুলকিকে বলে কোথাও না গিয়ে সোজা বাড়ি যেতে। এদিকে রোহিত চলে যেতেই, একজন নাপিত ওই চায়ের দোকানে চা খেতে আস। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সংশোধনাগারের কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হন একই কারণে।

সেই নাপিতকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, সাত দিন হয়ে গেছে শরীর খারাপের অজুহাতে সংশোধনাগারে কয়দিনের চুল দাড়ি কাটতে আসেনি, ফলে তাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আপনি কি মনে পড়ে রুদ্রকে দেখে মোটেও অগোছালো লাগেনি বরং পরিপাটি সাজ ছিল তার। ফুলকি আর সময় নষ্ট না করে রাজবাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে ছোট রানীর মুখোমুখি হয়ে ফুলকি গুরুজির সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব রাখে।

সবার আপত্তি থাকলেও চোখ এড়িয়ে ফুলকি সোজা চলে যায় গুরুদেবের ঘরের দিকে। ছোট রানী চিন্তিত হয়ে পড়েন, রুদ্রকে যাতে ধরে নিয়ে না যায় পুলিশ, তাই তিনি ফুলকিকে বের করে দেওয়ার হুকুম দেয়। ধানু ফুলকির পক্ষ নিয়ে বলে, সে কখনোই মিথ্যে কথা বলে না। কোনও ঘটনা ঘটার আগে থেকেই বুঝে যায় সে। কিন্তু ছোট রানী খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন রুদ্রর সমন্দ্ধে কি এমন জানে ফুলকি তা নিয়ে। ধানু ফুলকিকে জানতে চায় গুরুজিকে নিয়ে এত চিন্তিত কেন সে?

ফুলকি বলে রাজবাড়িতে গুরুজির ছদ্মবেশে একজন আসামী লুকিয়ে আছে। ফুলকির দৃঢ় বিশ্বাস ঘরের মধ্যে এই মুহূর্তে কেউ নেই। কিন্তু তখনই দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন গুরুজি, ফুলকি প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও পরে ঠিক বুঝে যায় যে এটা রুদ্রই। ছোট রানীর হাজারো কটাক্ষের মধ্যে ফুলকি নিয়ে ফেলে বড় সিদ্ধান্ত, হঠাৎ গুরুজির দাঁড়ি ধরে টানতেই বেরিয়ে পড়ে রুদ্রর আসল রূপ! এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।

Piya Chanda