“বিদ্রো’হ থেকে চু’মু, সবেতেই শুধু তোমাকে চাই”— বিপ্লবী পারুলের গালে রঙ লাগিয়ে, আন্দোলনের মঞ্চে রায়ানের স্বীকারোক্তি! ন্যায়ের আন্দোলনেই জন্ম নিল নতুন সম্পর্ক!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পুলিশ পিছু হটেছে পারুলের সাহসিকতার সামনে হার মেনে। এবার থানা ঘেরাও করে অনশন শুরু করে পারুলরা। যত সময় গড়াতে থাকে, আন্দোলনে আরও লোক সংখ্যা বাড়তে থাকে। সাংবাদিকরা সেখানের প্রতি মুহুর্তের খবর পৌঁছে দিতে থাকে সাধারণ মানুষদের কাছে। হঠাৎ অর্ক একটা খবরের কাগজ নিয়ে আনন্দ করতে করতে এসে সবাইকে দেখায়।

সেখানে প্রথম পাতায় পারুল-রায়ানের জল কামানের মুখে একে অপরকে জড়িয়ে থাকার ছবি প্রকাশ হয়েছে আর উপরে লেখা “বিদ্রোহ থেকে চুমু, সবেতেই শুধু তোমাকে চাই।” কথাটা যেন তাঁদের দুজনের মনেই গেঁথে যায়। এরই মাঝে হঠাৎই অর্ক অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় অনশনের ফলে দুর্বল হয়ে। রায়ান জল খাওয়াতে গেলে সে বলে যতক্ষণ না বিচার পাচ্ছে এক ফোঁটাও জল খাবে না।এরপর দেখা যায় একে একে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আর একটা সময়ে বক্তৃতা দিতে দিতে পারুলও মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রায়ানকে সে বলে, আন্দোলন চলবে যতই অসুস্থতা আসুক। অন্যদিকে শিরীন ও তাঁর এক বন্ধু লুকিয়ে লুকিয়ে খাওয়ার খেতে দেখে ফেলে পারুলের এক বন্ধু। পারুল আর রায়ানকে এসে খবরটা দিতেই তাঁরাও গিয়ে দেখে, মনের আনন্দে শিরীন খাওয়ার খাচ্ছে যেখানে এতজন অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শিরিনকে এই মুহূর্তে আন্দোলন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলে পারুল।

রায়ানও পারুলের সঙ্গে একমত হয়ে শিরীনকে বের করে দেয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রী এসে হাজির হন পারুলদের আন্দোলনের মঞ্চে। তিনি জানান, যেভাবে পারুলরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আর আন্দোলনটাকে একটা বিদ্রোহে পরিণত করেছে, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি কথা দেন এইসব বৃথা যাবে না বরং তিনি নিজ দায়িত্বে দোষীদের শাস্তি দেবেন। পারুলরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।

এরপর সবাই আবির মেখে নাচ-গানে উল্লাস করতে থাকে। পারুলের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে রায়ান। সে ঠিক করে নেয় এবার বলতেই হবে, পারুলের গালে আলতো করে লাল আবির মাখিয়ে সে অবশেষে বলেই ফেলে, “পারুল আমি তোকে ভালোবেসে ফেলেছি।” এরপর তাঁরা বাড়ি ফিরে গেলে দাদু ঢুকতে বাঁধা দিয়ে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে গিয়ে দুজনে তাঁকে অপমান করেছে।

আরও পড়ুনঃ পর্দা থেকে হঠাৎ গায়েব ছোট পর্দার ‘লক্ষ্মী’, এখন কী করছেন বিজয়লক্ষ্মী চট্টোপাধ্যায়? আবার কবে দেখা যাবে তাকে টিভির পর্দায়, অপেক্ষায় অনুরাগীরা!

পারুল বলে এটা অপমান নয়, গর্বের কথা তাঁরা যেভাবে ন্যায় পেয়েছে। দাদু বলেন ভবিষ্যতে এর থেকে বড় বিপদ এলে কি করবে তাঁরা? পারুল-রায়ান দুজনের হাত ধরে বলে, এইভাবে একসঙ্গে লড়াই করব। রায়ান বলে, পারুল শুধু মঞ্চের নন্দিনী না বরং বাস্তবের নন্দিনী যে লড়াই করতে জানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।