শুরু থেকেই কম বিতর্কে জড়ায়নি জি বাংলার ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। বারবার দর্শকদের দাবি উঠে বন্ধ করে দেওয়ার, তবুও নতুন-পুরনো ধারাবাহিকের সঙ্গে টক্কর দিয়েই এখনো চলছে এই ধারাবাহিক। সম্প্রতি, ‘উড়ান’ খ্যাত দেবপর্ণা (Debaparna Chakraborty) এবার ‘মিঠিঝোরা’-তে এসে যেন ঝড় তুলে দিচ্ছেন রাই-অনির্বাণ সংসারে। একটা সময়ে যে অনির্বাণ অতীত পাতায় তাঁকে রেখে এসেছে, এখন তার বুকের কাছাকাছি এসে, সে এনে দিচ্ছে সেই অতীতকে আবার! এদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবির জন্য রাই কিছুদিনের জন্য পর্দা থেকে দূরে থাকবেন, সেই ফাঁকেই দেবপর্ণা কি পুরো সংসারটাকে আঁকড়ে ধরবেন?
দর্শকদের মনে প্রশ্ন উঠছে, একটা সময় রাই ছিল অনির্বাণের চোখের মণি, আর এখন? তার জায়গা কি দখল করে নিল ‘পুরনো প্রেম’? আপাতত ‘মিঠিঝোরা’র নতুন প্রোমো দেখে দর্শকদের চোখ কপালে! একদিকে মা হিসেবে রাই ব্যস্ত সন্তান পালনে, কিন্তু অনির্বাণ যেন একেবারে নতুন জীবন খুঁজে পাচ্ছে ‘ফিরে আসা অতীতে’। একদিকে মেয়েকে কোলে নিয়ে ঘর সামলানো রাই, আর বহুগামী অনির্বাণ সেই পুরনো বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে চাকরির অফার দিচ্ছে!

অনির্বাণ বারবার বলছে, এটা শুধুই বন্ধুত্ব। কিন্তু বন্ধুত্বের সংজ্ঞা যদি হয় ‘কাল থেকে অফিসেও যাবে আমার সঙ্গে’, তাহলে রাই কেন, যেকোনও মেয়েরই জ্বলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। বরং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রাইয়ের যে মনখারাপ, সেটা যেন প্রতিটা নতুন মায়ের শরীর ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। একসময় যে অনির্বাণ রাইকে চোখে হারাত, সে এখন অন্য নারীর হাসিতে মজে! এদিকে দর্শক বলছে, “এই তো হল বস্তাপচা ধারাবাহিকের লজিক।
যেখানে স্বামীর এক্সদের আর কোনও কাজ থাকে না, হাত ধুয়ে শুধু একজনেরই পেছনে পড়ে।” এদিকে আবার রাইকে বলতে শোনা গেল, সব চুপ করে সহ্য করার দিন গেছে। শেষ পর্যন্ত রাই মুখ খুলে বলে দেয়, সে তার মেয়েকে একাই বড় করবে! ‘যা বোঝার বুঝে নিয়েছি, তোমার জীবনে আমার দরকার ফুরিয়েছে’, বলে রাই। দর্শক এখন চাইছে রাই যেন আর অনির্বাণের দিকে ফিরে না তাকায়, তবে রাইকে নিয়ে আশা ভরসা হারিয়েছেন দর্শক অনেক আগেই।
আরও পড়ুনঃ চড়ের ওপরেই দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকের টিআরপি! ‘কুসুম’-এ ইন্দ্রানীর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ নেটপাড়া! ‘চড় মারাই কি সমাধান?’ – ‘কুসুম’ দেখে বিরক্ত দর্শক, উঠছে প্রতিবাদ!
নতুন প্রোমো দেখে দর্শকদের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করছে এই ধারাবাহিক নিয়ে অসস্তি ঠিক কতটা,“এই জন্যেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল অনেক কাল আগেই, প্রতি মাসে অনির্বাণের একটা করে এক্স এসে জোটে!” হ্যাঁ, কেউ বলছেন,”অনির্বাণের ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট একদম জিরো।” একজন বলেছেন,” মধ্যবয়সী বাঙালি পুরুষের চিরাচরিত দুর্বলতাকে তুলে ধরছে অনির্বাণ!” সমাজ মাধ্যমে মিম-পোস্টের হিড়িক, যেখানে রাইয়ের কোলের মেয়েটাকে নিয়েও কটাক্ষ করা হচ্ছে!