জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় লক্ষ্মীর স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে চোরা বালিতে পা গেঁথে যায় রোহিত-ফুলকির। মুহূর্তের মধ্যেই দুজনে তলিয়ে যেতে শুরু করে, সাহায্যের জন্যে হাজার ডাকাডাকি করলেও রাতের অন্ধকারে কেউ আসে না। এদিকে রুদ্র লক্ষ্মীকে তার পাওনা-গন্ডা মিটিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দিতে বলে নিজেও ফুলকিদের মৃত্যু কামনা করে সেখান থেকে চলে যায়।
রোহিত ফুলকিকে বলে, এই জন্যেই কাউকে এত সহজে আপন ভাবতে নেই। ফুলকিও মনে করে যে নিশ্চই ছোট রানীই তাদেরকে মারার জন্যেই লক্ষ্মীকে পাঠিয়েছিল। রোহিতকে আশ্বস্ত করে ফুলকি বলে, কেউ ডাকে সাড়া না দিলেও মা কালী নিশ্চই দেবেন আর যদি চান নিজের কাছে ডেকে নিতে, সেটাও মেনেই নিতে হবে। ফুলকি এবার মা কালীর উদ্দেশ্যে গান গাইতে শুরু করে।

ধীরে ধীরে আরও গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে দুজন। ঠিক এমন সময়ে চাদর মুড়ি দিয়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের দিকে দড়ি ছুঁড়ে দেয়। কোনও রকমে সেই দড়ির সাহায্যে ফুলকিরা মুক্তি পায় চোরা বালির কবল থেকে। কিন্তু সেই ব্যক্তিকে ধরতে গেলেই তিনি চাদর ফেলে পালান। আসলে ঐ সাহায্যকারী ব্যক্তি আর কেউ নন বরং ছোট রাজা মশাই। তিনিই ফুলকির বিপদ আন্দাজ করে সেখানে আসতেই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।
এদিকে ফুলকি-রোহিত আবার গ্রামে ফিরে যায়, আর ছোট রাজা রানীর অজান্তেই আবার মহলে প্রবেশ করেন। ফুলকিকে বাঁচানোর কারণ, তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন যে ফুলকিই হচ্ছে বড় তরফে সন্তান। যাকে ছোট রানী শেষ করতে পারেন নি, আর এবার সে ফিরে এসেছে। ছোট রাজা চান, ফুলকি যেন তাঁর দাদার মৃত্যু রহস্যের সমাধান করে। ছোট রানী জানলে আবার বাধা দেবে বলেই তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ফুলকির সাহায্য করছেন।
অন্যদিকে সকাল হতেই ফুলকি-রোহিত গ্রামের মোড়লের কাছে উপস্থিত হয়ে, আগের রাতে যা কিছু ঘটেছে আর লক্ষ্মীর রহস্যজনক আচরণের কথাও সবাইকে জানায়। মোড়ল তাদের জানতে চান, কার খোঁজে সেখানে এসেছে দুজনে। ফুলকি বলে চব্বিশ বছর আগে তাঁর বাবা একটি দুর্ঘটনায় চাঙ্গুলি নদীতে ডুবে যান। তারই খোঁজ করতে এসেছে সে। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা, হারাণ মাঝিকে ডাকা হয়।
আরও পড়ুনঃ বিচ্ছেদের পথে বেরিয়ে বিয়ের সাজ! ভাড়া বাড়িতে নতুন সংসার পারুল-রায়ানের! পারুলকে সিঁদুর পরালো রায়ান, কিন্তু কেন? বিয়ের নাটক নাকি অজান্তে প্রেমের স্বীকৃতি?
তিনি এসে বলেন, তার স্পষ্ট মনে আছে নদীর চরায় একজন সুপুরুষ ব্যক্তি ভেসে এসেছিলেন আর তখন প্রাণও ছিল তার শরীরে। ফুলকি আর আবেগ চেপে রাখতে পারে না। জিজ্ঞেস করে, এখন কোথায় তিনি? কিন্তু এই ব্যাপারে কেউ কোনও সাহায্য করতে পারে না। এমন সময় লাবণ্য লাইব্রেরী থেকে একটা পুরনো পেপার কাগজে বড় রাজার ছবি খুঁজে পেয়ে ফুলকিকে এনে দেখায়। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।