জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’-র (Mithijhora) গল্পে মূলত তিন বোনের জীবনযাত্রা, স্বপ্ন ও সংগ্রামকে ঘিরে। তবে শুরু থেকেই যিনি দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন, তিনি হলেন ছোট বোন স্রোতস্বিনী মুখার্জি, যাঁর চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘স্বপ্নীলা চক্রবর্তী’ (Swapnila chakraborty) । তাঁর স্বপ্ন, তাঁর সাহস, এবং বিশেষ করে স্বার্থকের সঙ্গে জটিল কিন্তু মিষ্টি সম্পর্ক—সবকিছু মিলিয়ে এই চরিত্রটি আজ ‘মিঠিঝোরা’র প্রাণ। এবং এই স্বার্থকের ভূমিকায় রয়েছেন ‘মৈনাক ঢোল’ (Mainak Dhol) , যিনিও ধীরে ধীরে দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একসঙ্গে বসেছিলেন স্বপ্নীলা ও মৈনাক। দু’জনেই নিজেদের চরিত্র এবং ব্যক্তিগত অনুভব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে হাস্যরসের ছলেই উঠে আসে অনেক অজানা গল্প। স্বপ্নীলা মজার ছলে বলেন, “মৈনাক খুব দুষ্টুমি করেন তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে, সব সময় রাগিয়ে দেন!” আর মৈনাকের মতে, “স্বপ্নীলা একেবারে বাচ্চা মেয়ে, চঞ্চল আর দারুণ প্রাণোচ্ছল।” বাস্তব জীবনের রসায়ন তাদের পর্দার রসায়নকেও যেন আরও জীবন্ত করে তুলেছে।
তবে এই সাক্ষাৎকারে সবচেয়ে চর্চিত অংশ ছিল যখন প্রেমের প্রসঙ্গ উঠে আসে। প্রশ্ন শুনেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান স্বপ্নীলা। হেসে জানান, আপাতত তিনি কোনও সম্পর্কে নেই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, “মৈনাক দার প্রেমের অনেক অভিজ্ঞতা আছে!” এই মন্তব্যে চোখ বড় করে তাকালেও মৈনাক নিজে মুখ খোলেননি। বরং খানিকটা এড়িয়ে গেছেন বিষয়টি। তখনই স্বপ্নীলা ফাঁস করে দেন, ডিসেম্বরে নাকি মৈনাকের বিয়ে! এমন মন্তব্যে দর্শকের কৌতূহল কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
মৈনাক পরে বলেন, “স্কুল জীবন থেকে একাধিক প্রেম করেছি ঠিকই, কিন্তু কোনওটাই টেকেনি। এখন প্রেমট্রেম ছেড়ে কাজেই মন দিয়েছি।” অথচ তাঁর বিয়ে নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে তিনি চুপ। না না করে কি তাহলে হ্যাঁ? ডিসেম্বরে কি তবে সত্যিই চার হাত এক হতে চলেছে পর্দার স্বার্থক স্যারের? মৈনাকের নীরবতা যেন আরও রহস্য বাড়িয়ে দেয়। আর এই নিয়েই সমাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে জল্পনা—কে হতে চলেছে মৈনাকের পাত্রী?
আরও পড়ুনঃ রুক্মিণীর ইন্টারভিউ আটকাতে মরিয়া গোপালের মা-কাকি! স্ত্রীর স্বপ্ন রক্ষায় গোপাল রুখে দাঁড়াল একা! পারুলের বুদ্ধিতে হলো বাজিমাত! তূর্য ফিরেছে আরও ক্ষমতা নিয়ে! পারুল-রায়ানের বিচ্ছেদের পথে নতুন কাঁটা!
সব মিলিয়ে স্বপ্নীলা ও মৈনাকের বন্ধুত্ব, সম্পর্কের গভীরতা এবং পর্দা ও বাস্তবের মেলবন্ধনই যেন ধারাবাহিকের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। অনস্ক্রিন রোমান্স আর অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রির ফাঁকে দর্শকরা খুঁজে পান একরাশ সত্যিকারের আবেগ। আর প্রেমের জল্পনার এই নতুন অধ্যায় ধারাবাহিকের বাইরে এক নতুন কৌতূহলের জন্ম দিলেও, শেষ কথা যদিও বলবে সময়ই। তবে দর্শকেরা যে আপাতত স্বপ্নীলা-মৈনাক জুটিতেই বুঁদ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।