জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“মাত্র সাতটা মাস সময়!”— কার জন্য এত আবেগ তিয়াসার? চোখে জল, কাকে হারালেন অভিনেত্রী?

মাত্র সাতটা মাস, সময়টা নেহাত কম নয়! কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই সহকর্মী থেকে শুরু করে চরিত্রের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী, বিদায়ের মুহূর্তটা হয়ে উঠল আবেগে ভরা। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রোশনাই’-এর (Roshnai) শেষ দিনের শুটিংয়ে চোখের কোণে জল নিয়ে সেট ছাড়লেন পর্দার রোশনাই ‘তিয়াসা লেপচা’ (Tiyasha Lepcha)। অভিনয়ের প্রতিটি মুহূর্ত তাঁর মনে গেঁথে গেছে, সেটাই যেন সবচেয়ে বড় পুরস্কার।

‘রোশনাই’ ধারাবাহিকে তিয়াসার আগমন ঘটেছিল মাঝপথে। প্রথমদিকে এই চরিত্রে ছিলেন অনুষ্কা গোস্বামী, তবে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে তিনি ধারাবাহিক ছাড়লে, সেই জায়গায় আসেন তিয়াসা। আগেও দর্শক তাঁকে দেখেছেন ‘বাংলা মিডিয়াম’-এ, কিন্তু ‘রোশনাই’ ছিল একেবারে অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই ধারাবাহিকেই প্রথমবার জুটি বাঁধেন তিয়াসা। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের রসায়ন দর্শকের মনেও জায়গা করে নেয়।

শুটিং ফ্লোরে প্রতিদিন প্রায় ১৪ ঘণ্টা সময় কাটত তিয়াসার। তাই ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাওয়ার পর সকালটা যেন একটু বেশি ফাঁকা ফাঁকা লাগে তাঁর কাছে। কলটাইম নেই, সেটে পৌঁছনোর তাড়া নেই, এই হঠাৎ অবসরে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। অভিনেত্রীর কথায়, “একদিন ছুটি থাকলে ভালো লাগে ঠিকই, কিন্তু একেবারেই কাজ না থাকলে অদ্ভুত একটা শূন্যতা তৈরি হয়।”

মেকআপ ঘরের সেই আয়না, সাজগোজের টেবিল, চেয়ার—সব কিছুর সঙ্গেই একরকম আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় দিনের পর দিন সেখানে সময় কাটালে। তিয়াসার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি জানান, “ওই ঘরটাই ছিল আমাদের আড্ডার ঠাঁই। হাসি, গল্প, একসঙ্গে খাওয়া, সবই আজীবন থাকবে আমাদের স্মৃতিতে। কিন্তু কিছুই আর আগের মতো থাকবে না, সেটাই সবচেয়ে কষ্টের।”

আরও পড়ুনঃ কোর্টে দাঁড়িয়ে সবার মুখোশ খুলে দিল দুর্গা, ফাঁস করল সব ষড়যন্ত্রের কথা!

তবু জীবন মানেই তো পরিবর্তন। পুরনো কিছু শেষ হলে তবেই তো নতুনের সূচনা হয়। ঠিক সেই উপলব্ধিই যেন আজ তিয়াসার চোখেমুখে। ‘রোশনাই’-এর এই সফর শেষ হলেও, আগামী দিনে কোন চরিত্রে, কোন গল্পে দর্শক তাঁকে ফের দেখতে পাবেন—সেই উত্তর এখনও জানা নেই। তবে যেভাবে তিনি অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন, তাতে নতুন চমক যে অপেক্ষায় রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।