জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ক্যান্সারে আক্রন্ত হন বাবা, ছোটবেলায়ই শিখেছিলাম কিভাবে সংসার টানতে হয়”, “অভিনয় নয়, কর্তব্য বেছে নিয়েছিলাম”— পর্দার আড়ালে এক বাস্তব যোদ্ধা দিতিপ্রিয়া রায়! অভিনেত্রীর জীবনের গল্প ছুঁয়ে যাবে হৃদয়!

জি বাংলার পর্দায় আবারও ফিরেছেন সেই পরিচিত মুখ, যিনি এক সময় রাণীমা হয়ে দর্শকের হৃদয়ে রাজত্ব করেছিলেন। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অভিনেত্রী ‘দিতিপ্রিয়া রায়’ (Ditipriya Roy) -এর। বহুদিন পর ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে অপর্ণা চরিত্রে তাঁর কামব্যাক ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ধারাবাহিক এবং তাঁর অভিনয় নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা। জিতু কমলের সঙ্গে তাঁর রসায়ন নিয়ে সমাজ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়ে গেছে।

তবে জনপ্রিয়তার আড়ালে দিতিপ্রিয়ার বড় হয়ে ওঠার যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। ছোটবেলায় দুর্গার ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমেই তাঁর টেলিভিশন অভিষেক। মাত্র ছয় বছর বয়সে সেটে তাঁর অভিনয় দেখে পরিচালক থেকে সহ-অভিনেতারা সকলেই মুগ্ধ হয়ে যেতেন। কারোর তত্ত্বাবধান ছাড়াই, কেবল নিজের চোখে দেখা, অনুভব করা ও শেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। স্কুলজীবনের মধ্যেই বুঝে ফেলেন যে অভিনয়ই তাঁর ভবিষ্যৎ।

কিন্তু দিতিপ্রিয়ার জীবন কেবল ক্যামেরার আলোতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ক্লাস নাইনের ছাত্রীর জীবনে আসে কঠিনতম অধ্যায়, যখন তাঁর বাবার অসুস্থতা পরিবারকে চরম সংকটের মুখে দাঁড় করায়। প্রাণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি। তখনই আসে ‘রাণী রাসমণি’র প্রস্তাব। সিনেমার স্বপ্নকে পাশে সরিয়ে রেখে সংসার বাঁচাতে সিরিয়ালের পথ বেছে নেন দিতিপ্রিয়া। এক অনিশ্চিত শুরু হলেও, সেই চরিত্রই তাঁকে এনে দেয় এক অন্য উচ্চতা।

বহু বছর আগে শেষ হওয়া ধারাবাহিক আজও দর্শকের মনে উজ্জ্বল। নিজের অতীতকে ফিরে দেখে দিতিপ্রিয়া আজও ভোলেননি সেই লড়াইয়ের দিনগুলি। ছোট্ট মেয়েটি বাবার চিকিৎসার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিতেই, শুরু হয় জীবনের বাস্তব পাঠ। সেই অভিজ্ঞতাই তাঁকে শেখায় কীভাবে চাপের মধ্যেও নিজের স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরা যায়। অভিনেত্রী মনে করেন, তাঁর সাফল্যের মূল চাবিকাঠি সেই কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা আর তাঁর বাবার অসম্ভব লড়াই।

আরও পড়ুনঃ দরজার আড়ালে কী এমন ঘটল? বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অভিনেত্রীর! চাঞ্চল্য টলিপাড়ায়

আজ দিতিপ্রিয়া রূপে আমরা যাঁকে দেখি, তিনি কেবল একজন অভিনেত্রী নন, তিনি একজন যোদ্ধা। নিজেকে সেলিব্রিটি ভাবেন না, বরং সাধারণ একজন মেয়ে হিসেবেই নিজেকে দেখতে ভালোবাসেন। অহংকার নয়, বরং শান্ত স্বভাবের কারণে অনেকেই তাঁকে ভুল বোঝে— এমন কথাও বলেন তিনি। তবে দর্শকের ভালোবাসাকেই নিজের আসল প্রাপ্তি বলে মনে করেন দিতিপ্রিয়া, আর সেই ভালবাসার মূল্য তিনি বুঝতে জানেন, কারণ প্রতিটি মুহূর্তে তিনি জানেন, কোথা থেকে উঠে এসেছেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।