জি বাংলার ধারাবাহিক ‘মিত্তির বাড়ি’ (Mittir Bari) ইতিমধ্যেই দর্শকদের একাংশের খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ধারাবাহিক দিয়ে অনেক তারকারা বহুদিন পর ছোটপর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। যেমন– মুখ্য চরিত্রে ‘আদৃত রায়’ (Adrit Roy), ‘পারিজাত চৌধুরী’ (Parijat Chaudhuri), ছাড়াও মায়ের চরিত্রে ‘সোনালী চৌধুরী’ (Sonali Chowdhury)। মিঠাই ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর, পারিবারিক বন্ধনের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল মিত্তির বাড়ি। যদিও টিআরপি তালিকায় তেমন ফলাফল করতে পারেনি।
বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে দেখানো হচ্ছে জোনাকিকে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে ধ্রুবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোর্টে তোলা হলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে, এমন সময় তপতী (ধ্রুবর মা) সেখানে হাজির হয় সঙ্গে জোনাকিও। তারপর ওকালতির জোরে ধ্রুবকে নির্দোষ প্রমাণ করে তাঁরা। এরপর থেকেই ধ্রুবকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই গল্প এসেছে লিপ, পাঁচ বছর এগিয়ে গেছে সময়। এই সময়ে আলাদাই থেকেছে ধ্রুব-জোনাকি।
এখন তাই ধ্রুবকে খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জোনাকি। এই পর্ব শুটিংয়ের ফাঁকেই সংবাদ মাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হলেন সোনালী চৌধুরী ওরফে ধ্রুবর মা। ধারাবাহিকের আসন্ন গল্প নিয়ে বিশেষ কিছু না বললেও, তিনি নিজের চরিত্র এবং পাঁচ বছরের লিপে কী পরিবর্তন এসেছে, তাই নিয়ে কথা বললেন। অভিনেত্রীর কথায়, “তপতী মিত্র একজন মেধাবী স্টুডেন্ট ছিল। ল-এর পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিল সে।
ওকালতি করার ইচ্ছা থাকলেও সংসারের তাগিদে তাকে ছাড়তে হয়েছে সবকিছু। মুখ বুজে সবটা মেনে নিয়েছিল, কিন্তু এতদিন সংসার করার পর স্বামী অন্য মেয়ের কাছে চলে গেছে। সেই ধাক্কা মানতে পারেনি তপতী, ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং আবার ওকালতি শুরু করেছে।” এদিন সোনালী আরও যোগ করলেন, “শুধু ধারাবাহিকের চরিত্র বললে ভুল হবে, বাস্তব জীবনেও এমন অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী নারীরা সংসারের জন্য নিজের ইচ্ছা এবং পেশাকে জলাঞ্জলি দিতে বাধ্য হয়।”
আরও পড়ুনঃ সকাল সকাল দেবকে ফোন করে কেঁদে ফেললেন রুক্মিণী! হঠাৎ এমন কী হল অভিনেত্রীর সঙ্গে?
তিনি এরই সঙ্গে বলেন, “সবার ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস হয় না তপতীর মতো। কিন্তু নিজেকে একটু ধাক্কা দিয়ে ওই সাহসটুকু ফিরিয়ে আনতে পারলেই নতুন করে আবার জীবন শুরু করা যায়।” অভিনেত্রী এই উপলব্ধি দিয়ে ধারাবাহিকের চরিত্র এবং বাস্তবের মধ্যে ফারাককে গুছিয়ে দিতে চাইলেন। সত্যিই সমাজে এমন ঘটনা ঘটে, আর রোজই ঘটে! অভিনেত্রী তাই নিজের প্রতি আশাহত হওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।