জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্যর সঙ্গে দেখা করতে যায় অপু। অপুর কিছু বলে ওঠার আগেই আর্য পরিষ্কার করে দেয়, এমন কিছু যেন তাঁকে অপু জিজ্ঞেস না করে, যেটার উত্তর দিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে আর্য বারণ করে দেয় রাজনন্দিনীর বিষয়ে কিছু বলতে। অপুও জানিয়ে দেয়, এমন কোনও বিষয় তুলে আর্যকে অপ্রস্তুত করবে না।
কারণ অপুর মতে, সেই অধিকারের জায়গা তার হয়নি এখনও। এরপর অপু তার বাবাকে ওই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর্যকে ধন্যবাদ জানায়। রাতে অপুকে তার বন্ধু এসে জানায়, রাজনন্দিনীর বিষয়ে কিছু তথ্য ইন্টারনেটে পেলেও, শাড়ির ব্যবসার বাইরে আর কিছুই নেই। অপু মনে করে, শাড়ির বাইরেও রাজনন্দিনীর অস্তিত্ব আছে। আর এতটাই গভীর, কেউ সেটা মুছে ফেলতে চাইছে। পরদিন পাড়ার সব বউদের অপু সাজিয়ে গুছিয়ে রাজনন্দিনী শাড়ির জন্য মডেলিং করায়।

এরপর দিনরাত এক করে কোম্পানির নতুন প্রজেক্টে আকাশছোঁয়া সাফল্য এনে দেয় অপু। অন্যদিকে মীরা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে তার অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে। মীরার শয্যাশায়ী মা বলেন, তার হাতে আর বেশিদিন সময় নেই। এর আগেই তিনি মীরার সংসার গুছিয়ে যেতে চান, কিন্তু মীরা এতে রাজি নয়। মনে মনে মীরা আর্যকেই মন দিয়ে ফেলেছে, ওর পক্ষে আর কাউকে বিয়ে করা সম্ভব নয়, সেটা আচরণেই স্পষ্ট।
অপরদিকে কোম্পানির এমন সাফল্য দেখে আর্য খুব গর্ববোধ করে অপর্ণার উপর। ফোন করে অপর্ণাকে দেখা করার কথা জানায় আর্য, সঙ্গে একটা সারপ্রাইজও দেব বলে। এরপর শাশুড়ির কাছে গিয়ে আর্য রাজনন্দিনীর একটা শাড়ি চায়। তিনি খুশি হয়ে দিয়ে দেন, আর জানতে চান এই শাড়ির যোগ্য উত্তরাধিকারীর পরিচয়। আর্য জানায়, যাকে এই শাড়িটা দেবে, সে টাকা গাড়ি বাড়ি কিছুই চায় না। এমন অবস্থায় শাড়ি ছাড়া আর কিই বা দেবে।
আরও পড়ুনঃ ছোটপর্দার তৃপ্তি এবার প্রযোজক! নতুন ভূতের সিরিজে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায় অলকানন্দা গুহ!
আর্যর শাশুড়ি বলেন, এমন ভালোবাসার মানুষকে নিজেকেই দিয়ে দিতে হয়। আর্য শাশুড়িকে কথা দেয়, অনুষ্ঠানের দিন সেই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবে সে। মা-ছেলের কথোপকথন লুকিয়ে লুকিয়ে শুনে ফেলে অর্কর স্ত্রী। এরপর আর্য অপুর সঙ্গে দেখা করে, এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানায় আর শাড়িটা অপুর হাতে তুলে দেয়। অপুকে অনুষ্ঠানের দিন এই শাড়িটা পরার অপুরোধ করে আর্য।