ছোট পর্দায় ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিক দিয়ে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন ‘শ্রুতি দাস’ (Shruti Das)। শক্তিশালী অভিনয় ও অনবদ্য উপস্থিতি তাঁকে খুব দ্রুত দর্শকের মনে জায়গা করে দিয়েছিল। তবে সেই যাত্রা মাঝপথে কিছুটা থমকে গিয়েছিল যখন শ্রুতি প্রায় দু’বছর ছোট পর্দা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। এই দীর্ঘ বিরতির পর ‘রাঙা বউ’ (Ranga Bou) ধারাবাহিকে পাখি চরিত্রে ফিরে এসে যেন নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সেই চরিত্র তাঁর জীবনে শুধু কামব্যাক নয়, এক আবেগঘন অধ্যায়ও হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি শ্রুতি নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন কিছু ছবি, যেগুলো নিছক জিনিসপত্রের ছবি হলেও তাঁর কাছে এগুলো হয়ে উঠেছে স্মৃতির খণ্ডচিত্র। কোথাও কিছু রঙ, তুলি আর মাটির বাটি, কোথাও কাঠের চুড়ি, গলার হার আর একটি বাক্স—এই সামগ্রীগুলোর প্রতিটিই শ্রুতির জীবনের একটি চরিত্রের ছাপ বহন করে বলে তিনি জানান।
কোনও নতুন প্রজেক্ট নয়, বরং পুরোনো একটি চরিত্রের অনুভব থেকেই এই স্মৃতিচারণ। এই পোস্টের ক্যাপশনে শ্রুতি লেখেন, তিনি সবসময় চেষ্টা করেন প্রতিটি চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসার পর তার স্মৃতিকে যত্ন করে তুলে রাখতে। কাটোয়ার বাড়িতে ফিরেই যখন নিজের ঘর গোছাতে বসেন, তখন হঠাৎই সামনে চলে আসে সেই চরিত্রগুলোর রঙিন স্মৃতি। ‘রাঙা বউ’ শুধুমাত্র একটি কাজ ছিল না তাঁর জন্য, বরং ছিল এক আবেগঘন প্রত্যাবর্তন।
‘রাঙা বউ’-এর হাত ধরেই দীর্ঘ বিরতির পরে আবারও ছোটপর্দায় ফিরে আসতে পেরে শ্রুতি আজও আবেগে ভেসে যান। পোস্টে আরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে। তিনি বলেন, আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন জি বাংলার কাছে তাঁকে ‘পাখি’র মতো চরিত্র দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞ পুষ্করের প্রতিও, যে শ্রুতিকে তাঁর সেই চরিত্রের ব্যক্তিগত সাজানো বাক্সটি দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, সেই বাক্সের প্রতিটি উপাদান যেন এক একটি মুহূর্ত ধরে রেখেছে।
আরও পড়ুনঃ “রবিবার আমার বাবার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল” — বাবার অসুস্থতায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী সম্পূর্ণা লাহিড়ী!
যেগুলো তিনি সারাজীবন বুকে আগলে রাখবেন। শ্রুতির এই পোস্ট আবারও প্রমাণ করে দিল যে অভিনয় শুধুমাত্র একটি পেশা নয়, বরং কোনও কোনও চরিত্র শিল্পীর জীবনে হয়ে ওঠে আত্মার অংশ। ‘পাখি’ চরিত্র হোক কিংবা অন্য কোনও, শ্রুতি দাসের মতো শিল্পীরা চরিত্রের গভীরে ঢুকে যে আবেগ নিয়ে কাজ করেন, তা-ই তাঁদের আলাদা করে চিহ্নিত করে। আর দর্শকের মনেও চিরস্থায়ী হয়ে যায় সেই স্মৃতিগুলো, যেমনটা হয়ে আছে ‘রাঙা বউ’–এর পাখি।