পর্দায় তাঁকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে কড়া ও শৃঙ্খলাবদ্ধ মায়ের ভূমিকায়। জি বাংলার ধারাবাহিক ‘কুসুম’-এ ইন্দ্রাণীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকের মনে গেঁথে যাচ্ছে প্রতিদিন। এই চরিত্র যেন বাস্তবের ছায়াই—তাঁর মুখে কঠিন কথাগুলোও যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে। কিন্তু অনেকেই ভাবেন, পর্দার এই রূপটা কেবল অভিনয় নয়, বাস্তবেও তিনি কি এমনই?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তরে অঞ্জনা নিজেই জানালেন, ‘‘আমি ইন্দ্রাণীর মতোই কঠোর। ভুলকে মেনে নিই, কিন্তু অন্যায়কে নয়।’’ তাঁর মতে, সন্তান মানুষ করতে হলে ভালোবাসার পাশাপাশি প্রয়োজন কড়া শাসনও। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেও জানে নিয়ম না মানলে মা কথা বন্ধ করে দেবে।’’ শুধু অভিনয়ে নয়, বাস্তব জীবনের মায়ের ভূমিকাতেও তিনি ঠিক ততটাই শৃঙ্খলাপরায়ণ।
অভিনেত্রী জানান, ছোট থেকে ছেলেকে কখনও রাত করে বাইরে যেতে দেননি। এমনকি পুজোর সময়েও বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, কিন্তু বলেছিলেন—ছয়টার মধ্যে বাড়ি ফিরতে হবে। তাঁর মতে, একজন সন্তানের উচিত বড়দের সম্মান করা, এবং এটাই তাঁর ছেলের মধ্যে গড়ে তুলেছেন তিনি।
অঞ্জনা বলেন, “আমি নিজের চারপাশে এমন একটা আবরণ তৈরি করে রেখেছি, যেটা সবাই ভেদ করতে পারে না।” সেই আত্মমর্যাদাই তাঁকে ইন্ডাস্ট্রিতে আলাদা করেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ব্যক্তিগত জীবনেও কিছু ‘বাউন্ডারি’ থাকা দরকার, যেখানে অন্য কেউ হঠাৎ হস্তক্ষেপ করতে না পারে। এমনকি নিজের ছেলেকেও জীবনের কিছু সিদ্ধান্তে নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই রেখেছেন।
আরও পড়ুনঃ “আমায় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই জে’লে যেতে হয়েছে!”— বিস্ফো’রক স্বীকারোক্তি মানসীর! অভিনয়ের নামে খলনায়িকার বাড়াবাড়ির ফল স্বরূপ এই পরিণতি হয় অভিনেত্রীর!
সাক্ষাৎকারে অঞ্জনা একটি ঘটনার উল্লেখ করেন—ছেলের কিছু বন্ধুরা বাড়িতে এসেছিল, এবং প্রত্যেকে ঘরে বসে ফোনে ব্যস্ত। তখন অভিনেত্রী বলেছিলেন, “সবাইকে একটা করে চড় মারব!” তাঁর এই কথাতেই সকলেই ফোন নামিয়ে রাখে। এই সামান্য ঘটনাই বলে দেয়, তিনি পর্দা ও বাস্তব জীবনের মধ্যে কতটা সামঞ্জস্য রেখে চলেন।