জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“চেহারার দোষে আমায় অনেকে অহংকারী ভাবেন!” “প্রেমে পড়লে আমিও ব্লাশ করি!”— দর্শকদের মানসিকতা নিয়ে মুখ খুললেন প্রতীক! এবার ‘দাদামণি’ হয়েই করছেন বাজিমাত! অভিনেতার গম্ভীর মুখের আড়ালে লুকিয়ে এক লাজুক প্রেমিক!

তাঁর অভিনয় যাত্রা শুরু বড় পর্দা থেকে হলেও দর্শকের সঙ্গে তাঁর সবচেয়ে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ছোট পর্দাতেই। একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে নিজের অভিনয় দক্ষতায় তিনি দর্শকের মন জয় করেছেন। আবার ‘দাদামণি’ (Dadamoni) ধারাবাহিকের হাত ধরে ফিরলেন ছোট পর্দায়, এক নতুন রূপে। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে ‘প্রতীক সেন’কে (Pratik Sen) নিয়ে। তাঁর মতে, ধারাবাহিক হোক বা সিনেমা—ভিন্ন মাধ্যম হলেও আজকাল নির্মাণের গুণগত মানে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। ছোট পর্দাতেও এখন রয়েছে বড় বাজেট, উন্নত মেকিং এবং দারুণ গল্প বলার ধারা।

এদিন এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা ব্যক্তিগত জীবন এবং পর্দার আড়ালের কিছু গোপন কথা খোলাখুলি বলেন। ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গে প্রতীক জানান, তিনি মূলত একান্ত মানুষ, যাঁর বন্ধু-বান্ধবের পরিসর ছোট হলেও সম্পর্ক গভীর। নিজেকে ‘শ্রোতা বেশি, বক্তা কম’ বলেই বর্ণনা করেন অভিনেতা। এর ফলেই অনেকেই তাঁকে অহংকারী বলে ধরে নেন। যদিও এসব নিয়ে এখন আর তিনি মাথা ঘামান না। নিজের চেহারার জন্য ছোট থেকে অনেক কটুক্তি শুনেছেন, পাশে ছিলেন মা।

মায়ের উপদেশেই তিনি শিখেছেন, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো সম্ভব নয়—নিজের কাজটাই মন দিয়ে করে যেতে হয়। তিনি বলেন, ছোট থেকেই স্পষ্টবাদী থেকেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তাঁর কাছে সব নিন্দার আগে। প্রতীক মনে করেন, বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ধারাবাহিক হলেও, ধারাবাহিকের দর্শকদের নিয়ে অনেকেই অবহনার চোখে তাকান। যা একধরনের ‘জাতে ওঠার চেষ্টা’। তাঁর বক্তব্য, সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা সবকিছুতেই খুঁত খুঁজে পান।

এঁদের নিয়ে ভাবলে নিজের পথ হাঁটতে অসুবিধা হয়। তিনি বিশ্বাস করেন, বহু দর্শকের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা তাঁর এই যাত্রার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বরাবর পুরুষ প্রধান ধারাবাহিক অথবা চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নায়িকা প্রধান ধারাবাহিক নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, প্রতীক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এমন ধারাবাহিকে অভিনয়ের কোনও আপত্তি নেই যদি তাঁর চরিত্রে অভিনয়ের যথেষ্ট পরিসর থাকে। তাঁর মতে, প্রত্যেক ধারাবাহিকেই বিভিন্ন চরিত্রের গুরুত্ব থাকে।

আর সেই অনুযায়ী তিনি নিজের সাধ্যমতো সবরকম চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। সবশেষে, ‘দাদামণি’-র চরিত্রের সঙ্গে নিজের মিলের কথা বলতে গিয়ে প্রতীক বলেন, তিনি একই রকম পরিবার অন্তঃপ্রাণ। তিনিও ভেতরে একেবারে প্রেমিক প্রকৃতির মানুষ। তাঁর গাম্ভীর্যপূর্ণ চেহারার আড়ালে আছে এক লাজুক হৃদয়। কাউকে ভালো লাগলে এখনও রীতিমতো ‘ব্লাশ’ করেন তিনি। এভাবেই বাস্তব আর পর্দার মধ্যেকার সীমারেখা কোথাও যেন মিশে যায় প্রতীকের জীবনে।

Piya Chanda