জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, রাজনন্দিনী শাড়ি পরে অপু স্টেজে উঠতেই রীতিমতো চমকে যান আর্যর মা। অপু তাঁর চেনা না হয়েও বহুদিনের চেনা লাগে। এদিকে অপুও রাজলক্ষ্মীকে দেখে অদ্ভুত আচরণ শুরু করে, চোখেমুখে তাঁর ভয়ের চাপ স্পষ্ট।
আর্য এবার সবাইকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের জন্য ডাকে। অপর্ণার হাতে রাজলক্ষ্মীর হাত স্পর্শ করতেই, এক মুহুর্তে অনেক পুরনো স্মৃতি ফিরে আসে অপুর। চোখের সামনে বধূবরণের দৃশ্য দেখতে পায় সে। রাজলক্ষ্মীও মনে মনে ভাবে, প্রথমবার মন্দিরে দেখার পর থেকে অপুকে দেখলে মনে হয় তার জন্যই এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন তিনি।

হঠাৎ সেই রুদ্র মাতঙ্গী সাধিকা অপুর মায়ের কাছে উপস্থিত হয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেন। তিনি বলেন, উপর এবার যাবার সময় এসে গেছে। অপুকে কেউ আটকাতে পারবে না, ডাক পরলে যেতেই হবে। অপুর মা এই কথায় কোনও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করতে থাকেন, কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। অপুকে একবার দেখার জন্য অনুষ্ঠানে ছুটে যান সতীনাথকে নিয়ে।
আর্য কোম্পানির নতুন এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অপুকে প্রমোশন দেন। আচমকা এতোবড় সম্মান পেয়ে অপু কিছুটা স্তম্ভিত হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে উৎসাহে চিৎকার করে ওঠে অপুর মা, আর্য এরপর তাদেরও স্টেজে ডেকে নেয়। অপুকে বলার জন্য অনুরোধ করে আর্য, অপু তারপর যে সব কথা বলে, রাজলক্ষ্মী আরও ভীত হয়ে যান তাতে।
আরও পড়ুনঃ “চেহারার দোষে আমায় অনেকে অহংকারী ভাবেন!” “প্রেমে পড়লে আমিও ব্লাশ করি!”— দর্শকদের মানসিকতা নিয়ে মুখ খুললেন প্রতীক! এবার ‘দাদামণি’ হয়েই করছেন বাজিমাত! অভিনেতার গম্ভীর মুখের আড়ালে লুকিয়ে এক লাজুক প্রেমিক!
তিনি ভাবেন এই কথা তার অনেক চেনা, অতীতেও একজন এই কথাগুলোই বলতো, অপুর মধ্যেও হুবহু সেই মানুষটার সমস্ত গুণ বর্তমান। অপুর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিকে অর্কর স্ত্রী ক্ষমতা হারানোর ভয়ে, অপুকে কোণঠাসা করার পন্থা খুঁজতে থাকে। অপুকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে আর্য জানায়, সে তার মনের কথা এবার সবার সামনে তাঁকে জানাবে।