জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘মিঠিঝোরা’ শেষ হতেই নতুন প্রজেক্টে আরাত্রিকা! ছোটপর্দা ছেড়ে এবার কোথায় পা দিলেন রাইপুর্ণা?

বাংলার টেলিভিশন দর্শকদের কাছে একটি খুবই পরিচিত নাম ‘রাইপুর্ণা’। আর এই চরিত্রের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি-র নাম। ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই তাঁকে ঘিরে তৈরি হয় আলাদা ফ্যান বেস। ছোটপর্দায় তাঁর সাবলীল অভিনয় মন কাড়ে দর্শকের। কিন্তু ‘মিঠিঝোরা’ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই ভাবছিলেন, এবার কী তবে বিরতি নিতে চলেছেন তিনি?

এমনটা ভাবলেও, বাস্তবে ঘটেছে ঠিক তার উলটো। ধারাবাহিক শেষ হতে না হতেই সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত নতুন ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-তে অভিনয়ের সুযোগ পান আরাত্রিকা। ছবিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন তিনি। সিনেমা জগতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়েছে তাঁর অভিনয় জীবনে।

তবে এখানেই থেমে নেই তাঁর সাফল্য। সূত্রের খবর, একটি ছবির কাজ শেষ করেই আরও একটি নতুন ছবির কাজ শুরু করে দিয়েছেন আরাত্রিকা। ‘অন্য সময় প্রাইম’-এর তরফে যোগাযোগ করা হলে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি অভিনেত্রী। আপাতত চুপচাপ থাকলেও ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে গুঞ্জন, আরও এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে নতুন সিনেমায়।

এত ছবির ব্যস্ততার মাঝে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ছোটপর্দা থেকে বিদায় নিচ্ছেন রাইপুর্ণা? একেবারেই নয়। জানা গিয়েছে, আরাত্রিকা সিনেমার কাজ শেষ করেই খুব শিগগিরই নতুন একটি ধারাবাহিক নিয়ে ছোটপর্দায় ফিরছেন। তবে কোন চ্যানেল, কার পরিচালনায়, বা কে তাঁর বিপরীতে থাকবেন— সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি তিনি।

টেলিভিশনের ‘রাইপুর্ণা’ এখন রীতিমতো বড়পর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী। টানা দুটি ছবির কাজে হাত দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন, তাঁর প্রতিভা কোনও এক মাধ্যমে আটকে নেই। ছোটপর্দার দর্শকদের যেমন মুগ্ধ করেছেন, তেমনই এবার সিনেমা হলেও নিজেকে প্রমাণের পালা। এখন দেখার, বড়পর্দায় আরাত্রিকার এই নতুন যাত্রা ঠিক কতটা সাফল্য নিয়ে আসে তাঁর কেরিয়ারে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।