জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা আর্যকে এক সপ্তাহ তাঁর মুখ দেখতে বারণ করে দেয়। নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেও অপু আর্যর সামনে এসে দাঁড়াবে। আর্য মনে মনে খুব আঘাত পায় অপুর কথায়, রাজলক্ষ্মীকে ফোন করে কোথায় আছেন জানতে চায় আর্য। রাজলক্ষ্মী স্পষ্ট বুঝতে পারেন, আর্যর কিছু একটা হয়েছে।
কিছু বলার আগেই আর্য ফোনটা কেটে দেয়। এদিকে রাজলক্ষ্মীর বারবার অপুর কথা মনে পড়লেই রাজনন্দিনীর স্মৃতি ভেসে উঠছে। ভগবানের কি ইচ্ছা জানতে তিনি মন্দিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অপু কালী মন্দিরে এসে পৌঁছায় নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই শুরু করার আগে আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য। ঠিক সেই মুহূর্তে রাজলক্ষ্মীও একই মন্দিরে আসেন। গাড়ি থেকে নামতেই অপুকে লক্ষ্য করেন তিনি।

দূর থেকে অপুকে দেখতে পেয়েই তিনি চিনে ফেলেন। ততক্ষণে অপু মন্দিরের ভেতরে চলে যায়। সেখানে গিয়ে ঠাকুরের সামনে প্রার্থনা করছে, এমন সময় আর্য পাশে এসে দাঁড়ায়। আর্য কিছু বোঝার আগেই অপু সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু মন্দির দিয়ে বেরোতেই ধাক্কা লাগে রাজলক্ষ্মীর সঙ্গে। তিনি অপুকে দেখতে পেয়ে বলেন, তার মনেই হচ্ছিল অপুর সঙ্গে আবার দেখা হবে।
আর্য পেছন থেকে তার মাকে ডাকতে ডাকতে এগিয়ে আসছে দেখে, অপু নিজেকে আড়াল করতে থালা থেকে সিঁদুর নিয়ে নিজের মুখ রাঙিয়ে দেয়। পালিয়ে যাবে ঠিক এমন সময়, আর্য হাতটা ধরে নেয়। অপু চলে গেলেও তার চুরি আর্যর হাতেই থেকে যায়। ভবিতব্যের এই খেলার কথা আর্য তার মাকে জানায়। একদিন আর্য অপর্ণা থেকে পালাতে নিজের মুখে সিঁদুর লাগিয়েছিল, আজ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল তারই সঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ ফেডারেশনের সঙ্গে মামলার পর মিমাংসা, খাবারের দোকান ছেড়ে আবার পরিচালকের চেয়ারে অয়ন সেনগুপ্ত! ‘কে আপন কে পর’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর পর কোন ধারাবাহিক আনছেন তিনি?
মা-বাবার হাজার বারণ সত্ত্বেও, অপু রাতের বেলা অফিসে যায় কাজ করার জন্য। আর্য অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে গিয়েই, অপুকে সেখানে এত রাতে কাজ করতে দেখে। মনে মনে অপুর জন্য কষ্ট হয় তার, অপুকে সাহায্য করতে অফিসে পৌঁছে যায় আর্য। দুজনের মধ্যে একান্তে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়, এমন সময় কিঙ্কর সেখানে চলে আসে। আর্যকে সে জানায় মীরার মা গত হয়েছেন।