জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মানসী আর্যর অতীত মানতে উঠে পড়ে লেগেছে। বাড়ির সব চাকরদের সে জানতে চায়, আর্য আগাগোড়া এই বাড়িতে থাকি কিনা। কেউই তার প্রত্যাশা অনুযায়ী উত্তর দিতে পারে না। কিন্তু মানসীও হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয়। সে কি করে ফ্যামিলি অ্যালবাম দেখে বের করবে অতীত রহস্য।
মানসীর মনে তীব্র সন্দেহ, সেদিন আর্য কথাগুলো মুখ ফসকে বলেনি। বরং তার পেছনে যথেষ্ট গভীর অর্থ ছিল, যেটা তার মা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে আবার জড়িয়ে আছে অর্ক শরীর খারাপের রহস্য, তাই মানুষই আরো বেশি উদ্বিগ্ন এই নিয়ে। অন্যদিকে অফিসে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য রাত-দিন এক করে কাজ করছে অপু। আর্য তাকে ডিনারে যাবার প্রস্তাব দিলেও, সে কোনও উত্তর দেয় না।

অন্যদিকে মীরা আর্য সঙ্গে কিছু কথা বলতে এলে, মিটিং এর অজুহাতে মীরাকে ফিরিয়ে দেয় আর্য। মীরা তাও অপেক্ষা করতে থাকে আর্যর, এমন সময়ে মীরার ফোনে একটা মেসেজ ঢোকে। যেখানে লেখা– আর্য তাদের পরিচিত রেস্টুরেন্টে ডিনারের জন্য টেবিল বুক করেছে। মীরার মনে পড়ে, আগে প্রতি মাসে ১৫ তারিখ তারা এক জায়গাতেই খেতে যেত। মীরার ভুল ধারণা হয়, আর্য তাকে ভালোবাসে বলেই ডিনারে ডেকেছে।
অপু মুখ ফুটে আর্যকে কিছু না বললেও, মনে মনে ঠিক করে কাজ সেরে ঠিক ডিনারে যাবে। এরপর দেখা যায় রেস্টুরেন্টে আর্য অপর্ণার জন্য অপেক্ষা করছে। মীরা সেখানে শাড়ি পড়ে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হয়। অপুর জায়গায় মীরাকে দেখে রীতিমত অবাক হয়ে যায় আর্য। মিরা এবার তার মনের কথা আর্যর সামনে খুলে বলে। সে জানায় আর্যকে তার প্রথম থেকেই ভালো লাগে, আর তাকেই সে ভালবেসেছে।
অন্যদিকে অপু উপস্থিত হয় সেখানে, সামনে এমন ঘটনা ঘটছে দেখে ভেঙে পড়ে মন থেকে। কিন্তু আর্যর উত্তর দুজনকেই চমকে দেয়। আর্য পরিষ্কার করে মীরাকে বলে দেয়, সে অন্য একজনকে ভালোবাসে। তার পক্ষে মীরাকে বন্ধুর থেকে বেশি কিছু ভাবা সম্ভব নয়। মীরা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যায়, অপর্ণা আর্যকে তাঁর পেছনে যেতে বলে। আর্য মীরাকে সান্তনা দিতে গেলে, মীরা জানায় যেভাবে ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করতে পারল কিন্তু কাকে ভালোবাসে তার নাম বলল না।
আরও পড়ুনঃ জি বাংলার মহালয়ায় দুর্গা রূপে আসছেন কিশোরী খ্যাত অভিনেত্রী? অন্যদিকে শিব হবেন কে? দর্শকদের জল্পনা তুঙ্গে!
একই কথায় সহমত হয় অপর্ণাও। তারও একটাই কথা, যত তাড়াতাড়ি মীরাকে না বলতে পারল আর্য, ততো তাড়াতাড়ি অপর্ণাকে হ্যাঁ বলতে পারেনি এখনও। অভিমান থেকে অপর্ণা ডিনার করতে অস্বীকার করে, তবুও আর্যর কথা সম্মান রেখে অবশেষে রাজি হয়। আর্য অপর্ণাকে রেস্টুরেন্টে অনেকবার চেষ্টা করেন নিজের মনের কথা বলতে, কিন্তু বারবার বাধা পায়। এদিকে অপর্ণা বলে মীরার এখন আর্যকে বেশি প্রয়োজন, তার পাশে দাঁড়াতে।