জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপু আর আর্য একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছে। আর্য নিজের মনের কথা বলতে অনেক চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছু না কিছু বাঁধা এসেই পড়ছে। আর্য এবার অনেক সাহস করে অপুকে সবটা বলতে গেলে, হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রেস্তোরাঁর। অপর্ণা অত্যন্ত ঘাবড়ে যায় এমন অন্ধকারে, আর্য তার হাতটা ধরে।
অপর্ণা মনে জোড় পায় আর্য হাতটা ধরায়। আবার আলো ফিরে আসতেই, অপু সিদ্ধান্ত নেয় বাড়ি ফিরে যাওয়ার। সে আর্যকে জানিয়ে দেয়, এতদিনেও যখন সে নিজের মুখে কিছু বলেনি, তাহলে ধরে নিতে হবে যে তাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই একসঙ্গে। এরপর অপু বাড়ি ফিরতেই দেখে মীরা তাদের বাড়িতে, পরে জানতে পারে যে অপুর সঙ্গে দেখা করবে বলেই অপেক্ষা করছে সে।

অপুকে সাবধান করে মীরা চলে যেতে লাগলে, অপু জোড় করে জানতে চায় যে কি উদ্দেশ্যে মীরা এত কথা শোনাচ্ছে। মীরা বলে, এত কম বয়সে যোগ্যতা ছাড়া যে জায়গায় অপু পৌঁছেছে, সেটা নেহাত কাজের জন্য নয় বরং আর্যকে খুশি করেই। আর সেই জন্যই আজকে ডিনারেও গেছিলো দুজনে একসঙ্গে। মীরা বলে, এসব করে অপু বেশিদূর এগোতে পারবে না। মীরা চলে যেতেই অপুর বাবা খুব রেগে গিয়ে অপুকে জেরা করা শুরু করে।
এত প্রশ্নের কিন্তু অপু একটা উত্তরও দেয় না। অন্যদিকে মানসী আর্যর অতীত জানতে চিলেকোঠার ঘরে ফটো অ্যালবাম খুঁজতে থাকে। একটা লাল বাক্স থেকে সেটা খুঁজেও পায়, এবং দেখতে শুরু করে। এদিকে অর্ক মানসীকে সারাবাড়ি খুঁজতে থাকে, রাজলক্ষী জানায় বাড়িতেই আছে মানসী। একজন চাকর জানায় মানসীর জুতো চিলেকোঠার ঘরের সামনে দেখেছে।
আরও পড়ুনঃ উজ্জ্বল দীপ্তি, চোখে সাহসের আগুন— মা দুর্গার রূপে শ্বেতার প্রথম ঝলকেই মুগ্ধ সবাই! জি বাংলার মহালয়াতে মা দুর্গা হচ্ছেন শ্বেতা! ছবি দেখে উত্তেজিত দর্শকরা, শ্বেতার দুর্গা লুক ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে!
অর্ক ছুটে যায় সেখানে, এদিকে রাজলক্ষ্মীর ভয় হয় অতীত বেরিয়ে আসা নিয়ে। নিজের ছোটবেলার জিনিস দেখে অর্ক খুব আনন্দ পায়। কিন্তু মানসী একটাও ছবি পায় না আর্যর, একটা মেয়ের ছবি পায় সে। অর্ককে ছবিটা দেখাতেই সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাজলক্ষ্মী এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। মানসী চেপে ধরে সত্যিটা বলতে, তখনই আর্য এস উপস্থিত হয়।