জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, প্রেজেন্টেশন শেষ হতেই অপর্ণা আর্যকে হাততালি দিতে দেখে অবাক হয়ে যায়। আর্য জানায়, অপর্ণা এখন অন্য কোম্পানিতে কাজ করলেও, তার কাজ দিয়ে আর্যর মাথা উঁচু করেছে। আর্য বলে, অপর্ণার দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভাবনা সবার থেকে আলাদা বলেই সে সবার থেকে আলাদা।
এই কথার সঙ্গে সহমত হয় মীরাও, অপরদিকে অপর্ণার নতুন বস বলেন যে অপর্ণা যে কোনও কোম্পানির জন্য একটা অ্যাসেট, আর অপর্ণাকে তাদের কর্মচারী হিসেবে পেয়ে খুব খুশি তারা। এরপর আর্য কিছু বলতে গেলে, মীরা বাধা দেয় দেরি হচ্ছে বলে। আর্য মীরাকে গাড়িতে অপেক্ষা করতে বলে, অপর্ণার কোম্পানির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাদা করে কিছু কথা বলেন।

অপর্ণা বাড়ি ফিরতেই মা-বাবা অফিসের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা জানতে চান, সব বললেও অপর্ণা আর্যর কথাটা চেপে যায়। এদিকে আর্য মনে মনে ঠিক করে অপর্ণাকে সব সত্যি জানিয়ে দেবে আর সেটার জন্য কাছাকাছি রাখতে হবে তাকে। অন্যদিকে ভবিতব্যকে দোষ দিচ্ছে অপর্ণা, যে কেন দূরে যেতে চাইলেও আর্যর কাছে আবার ফিরে আসতে হচ্ছে।
পরদিন সকাল হতেই অপর্ণার ফোনে ম্যাসেজ আসে যে অফিসের জায়গা বদল হচ্ছে, তাই বাড়ি থেকে গাড়ি এসে তাকে অফিসে নিয়ে হবে। অপর্ণার বাবা-মা অতীতের সেই ঘটনা মনে করে চিন্তিত হয়, কিন্তু অপর্ণা বিশ্বাস করে যে সেরকম কিছু হবে না। গাড়িতে উঠতেই, গাড়ি যে রাস্তা দিয়ে যেতে শুরু করে, অপর্ণার খুব চেনা লাগে। কারণ একই জায়গায় আর্যর অফিসও।
আরও পড়ুনঃ “দেবের প্রাক্তন, কিন্তু আজ আমার স্ত্রী!” “শুভশ্রী আমার ‘মাই জান’, কিন্তু ওর অতীতে তো দেব ছিল!”— নজরুল মঞ্চে দেব-শুভশ্রী জুটির পুনর্মিলনে, রাজের গলায় চাপা অভিমান! অনুষ্ঠানে ইচ্ছাকৃত অনুপস্থিতি, প্রাক্তনের সঙ্গে স্ত্রীর রসায়নে অসস্তি নিয়ে কি বললেন তিনি?
গাড়ি কিছুদূর গিয়ে থামে, অপর্ণা গাড়ি দিয়ে নামতেই দেখে আর্যর অফিসের সামনে সে। অপর্ণার পুরনো সহকর্মীরা এসে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় ভিতরে। সেখানে গিয়ে অপর্ণা জানতে পারে, আর্য তাদের কোম্পানি কিনে নিয়েছে। ফলে এখন থেকে এই অফিসের কাজ করতে হবে অপর্নাকে। খুশি হওয়ার বদলে টাকার জোরে অপর্ণাকে কাছে আনার চেষ্টায়, আর্যকে অনেক কথা শোনায় সে।