জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য অপর্ণার কাছে একটা শেষ সুযোগ চায় নিজেকে প্রমাণ করে দিতে। অফিসের পর অপর্ণাকে দেখা করতে বলে আর্য। একদিকে মিটিংয়ের মাঝেও আর্য বারবার অপর্ণার করা অপমান নিয়ে ভাবতে থাকে, অন্যদিকে ইচ্ছা থাকলেও অপর্ণা ঠিক করে সে আর্যর সঙ্গে দেখা করতে যাবে না।
হঠাৎ মীরা আর্যকে জানায়, তার রাতে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে। আর্য মীরাকে বলে, আজকে সে কোনও ভাবেই পারবে না এটা করতে, কারণ একটা ব্যক্তিগত কাজ আছে। এই বলে আর্য বেরিয়ে যায় অফিস থেকে এবং অপর্ণা ঠিক করে কাজ সেরে বাড়ি ফিরবে। এদিকে ঠাকুর পুজো করতে করতে অপর্ণার মা, ঠাকুরের কাছে অপর্ণার ভবিষ্যতের জন্য আশীর্বাদ চাইতেই, ঠাকুরের ছবি আসন থেকে পড়ে যায়।

অপর্ণার মা কান্নায় ভেঙে পড়েন, বারবার অপর্ণার বাবাকে অনুরোধ করতে থাকেন, একবার ফোন করে মেয়ের খোঁজ নিতে। কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যায় না অপর্ণার সঙ্গে। আরেক দিকে, রাজলক্ষী আর্যর প্রতীক্ষা করতে থাকেন। এমন সময়ে মানসী এসে সেই আগের দিনের প্রশ্ন আবার করে, যে ছোট বেলায় অর্ক কেমন ছিল। রাজলক্ষ্মী সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিতেই, মানসী আর্যর ছোট বেলা নিয়ে প্রশ্ন করে। রাজলক্ষ্মী কিছুতেই মানসীর এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না।
ঠিক তখনই মীরা সেখানে আর্যর খোঁজ করতে আসে। এত রাতে আর্য বাড়ি ফেরেনি শুনে বিপদের আশঙ্কা করে সে। মীরাকে কাঁদতে দেখে রাজলক্ষ্মী প্রশ্ন করতেই, মীরা জানায় সে আর্যকে ভালোবাসে। অন্যদিকে বৃষ্টিতে ভিজে, মাথায় ছাতা নিয়ে আর্য এখনও অপেক্ষা করেছে অপুর। না চাইতেও কোনও এক অদৃশ্য কারণে অপু আর্যর সামনে উপস্থিত হয়। তাঁদের মধ্যে আর নতুন কোনও কথা নেই, আর থাকলেও আর্য বলবে না— বলে কটাক্ষ করে অপু।
আরও পড়ুনঃ রচনার চোখে আরাত্রিকা নতুন মহানায়িকা! ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’–এর মঞ্চে টেলি অভিনেত্রীকে সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তুলনা করেই নেটদুনিয়ার রোষের মুখে প্রিয় ‘দিদি’! ‘এই অল্প মিলেই যদি মহানায়িকা হয়, তাহলে বাঙালি বাড়িতে আরও দশটা আছে!’ ‘এই তুলনা পাপের সমান!’— কটাক্ষ দর্শকের!
অপর্ণা আর্যকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে, কিন্তু আর্য জানায় যে সে আজকেই সবটা বলে দেবে। এক পর্যায়ে আর্য বলেই দেয় অপর্ণাকে যে রাজনন্দিনী তার স্ত্রী! মুহূর্তেই অপর্ণার পায়ের তলার মাটি সরে যায়। আর্য জানায়, সে বিবাহিত কিন্তু তার সংসার টেকেনি। কারণ রাজনন্দিনী আর বেঁচে নেই, মারা গেছেন বহু আগে। সবকিছু শুনে ভেঙে পড়ে অপর্ণা, আর তাকে দেখে হতাশ হয়ে যায় আর্যও।