গত বৃহস্পতিবার রাতেই টেলিপাড়ায় একটা বড় রটনা ছড়িয়ে পড়ে— যে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) থেকে ‘জীতু কামাল’কে (Jeetu Kamal) বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। ওইদিন রাতের এপিসোডে আবার দেখা গিয়েছিল, নায়কের দু’র্ঘট’না এবং নায়িকা ‘দিতিপ্রিয়া রায়’ (Ditipriya Roy) এর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন— সব মিলেমিশে আলোচনার আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। অনেকে একপ্রকার ধরে নেয় যে প্লাস্টিক সার্জারি দেখিয়ে নায়ককে বদলে ফেলা হবে!
আবার কানে আসে ‘পরশুরাম’-এর ইন্দ্রজিৎ বসুর নামও নতুন নায়কের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। শুক্রবার সকাল থেকেই গুঞ্জন বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তেজনাপূর্ণ রূপ ধারন করে যখন জীতু সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, তিনি “ভিতু নন” এবং কাজ ছেড়ে পালাবেন না— চ্যানেল ও প্রযোজকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছেন এবং যেভাবে কাজ করতেন সেভাবেই চালিয়ে যাবেন। এই সরল কিন্তু নিশ্চিত করে দেয়া পোস্টটা জনমনে সন্দেহকে আরও তীব্র করে তোলে।
কারণ ইদানিং নাকি কাজের বাইরে, কোনও কলাকুশলী কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। দর্শকরাও যথেষ্ট অসংগতি প্রকাশ করেছে বর্তমান পর্বের চরিত্রদের অভিনয় নিয়ে। শুটিং সেটেও কালকের দিনটি ছিল অন্যরকম, মোটামুটি নীরবতার ছায়া। নায়ক দুপুর থেকেই শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন, কিন্তু নায়িকা তখনও স্টুডিয়োয় পৌঁছেননি। জীতুর অফিস প্রদর্শনের অংশটা বদলে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের কেবিনের রূপ দেওয়া হয়েছে এবং সেখানেই বেশিরভাগ শট চলছে।
বিকেলে পরিস্থিতিটা পালটে যায় যখন দিতিপ্রিয়া এমন এক বার্তা দেন যে প্রযোজনা সংস্থার হস্তক্ষেপে সহ-অভিনেতার সঙ্গে চলমান সমস্যার সমাধান করেছেন। টেলিপাড়ার সূত্রে জানা যায়, প্রযোজনা সংস্থার উচ্চপদস্থদের একজন বৃহস্পতিবার রাতে জীতুর সঙ্গে আলাদা কথা বলেন—নায়ককে জিজ্ঞেস করা হয় তাঁর কাজ করার কোনও আপত্তি আছে কি না এবং তিনি নায়িকার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে অভিনয় করতে পারবেন কি না। জীতু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তার কোনও অসুবিধা নেই।
আরও পড়ুনঃ ‘সিরিজ বা ছবির অফার পেয়েছি, কিন্তু ভাগ্য খারাপ’— কেন এমন আক্ষেপ করলেন অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসু?
একইভাবে প্রযোজক দিতিপ্রিয়ার সঙ্গেও কথা বলে সমস্যাগুলো ভেঙে দেন। ফলত, নায়ক বদলের গুঞ্জনটা অনেকটাই অতিরঞ্জিত প্রমাণিত হয়, তার সঙ্গে দুজনের ঝামেলাও একই প্রশ্নের মুখে পড়ে। নির্ধারিত কোনও মুখ বদলের বিবৃতি না এলেও, রটনার উৎস হিসেবে একই স্টুডিওর পাশের ফ্লোরে চলা অন্য ধারাবাহিকগুলো হতে পারে। উল্টো আশ্চর্য বিষয়, এত সমস্যার মধ্যেও টিআরপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৭ পয়েন্টে! আপাতত সেটের ভেতরের কর্মকাণ্ডও স্বাভাবিক পথে ফিরে এসেছে।