শ্রাবণের শেষ প্রান্তে পুজোর আবহ চারদিকে। সেই আবহে এ দিন নজর কাড়ল এক বিশেষ দৃশ্য। একসঙ্গে, পাশাপাশি, হাসিমুখে বসে গল্পে মগ্ন দুই জনপ্রিয় মুখ। আশেপাশে ভক্তদের উচ্ছ্বাস, ধূপের গন্ধে ভরে থাকা পরিবেশ, আর মন্দির প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে থাকা এক অন্যরকম উষ্ণতা—সব মিলিয়ে যেন সিনেমার দৃশ্যপট তৈরি হল।
বুধবার সেই মুহূর্ত ধরা পড়ল নৈহাটির বড়মায়ের মন্দিরে। উপস্থিত ছিলেন দুই তারকা—দেব ও শুভশ্রী। ‘ধূমকেতু’র মুক্তির আগে আবারও যুগলকে এক ফ্রেমে দেখার সুযোগ পেলেন অনুরাগীরা। লাল পাঞ্জাবি-পাজামায় সেজেছিলেন দেব, আর শুভশ্রীর পরনে ছিল লাল শাড়ি ও সোনার গয়না। পুজোর সরাসরি সম্প্রচারে তাদের হাসিমাখা আলাপচারিতা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা আর ভালবাসার ঢেউ ওঠে।
মন্দিরপ্রাঙ্গণ জুড়ে ধূপ-ধুনোর ধোঁয়া, সামনে দেবীমূর্তি—পরনে লাল পাড় হলুদ বেনারসি। সাদা-কালো মেঝেতে বসেছিলেন ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, প্রযোজক, আবহসঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত সহ গোটা দল। ঠিক সেই সময়ই দেখা গেল দেব, শুভশ্রীর দিকে ফিরে আলাপচারিতায় ব্যস্ত। পুজোর অঞ্জলিতে হাতে ফুল নিয়ে যুগলে মিলে প্রার্থনা করলেন, পাশে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
অঞ্জলি শেষে পুরোহিত শান্তির জল ছড়িয়ে দিলেন সবার মাথায়, কপালে সিঁদুরের মঙ্গলটিকা এঁকে দিলেন দেব-শুভশ্রীর। জোড়হাতে প্রার্থনায় নিমগ্ন ছিলেন দুই তারকা। বাইরে তখন উপচে পড়া ভিড়—‘দেব-দেবী’কে এক ঝলক দেখার জন্য ব্যাকুল জনতা। খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা যুগলকে দেখে ভক্তদের কণ্ঠে ধ্বনিত হতে থাকে একটাই স্লোগান—‘দেশু’।
আরও পড়ুনঃ জি বাংলায় পুজোর আগেই আসছে ‘কোণে দেখা আলো’, শেষ হবে কোন জনপ্রিয় ধারাবাহিক?
ট্রেলার মুক্তির দিনে নজরুল মঞ্চে যুগল হাজির ছিলেন, আর ছবিমুক্তির ঠিক আগের দিন এই পুজোর মঞ্চে ধরা দিলেন নতুন রূপে। ভক্তদের প্রতি হাত নেড়ে, ভালোবাসার ইঙ্গিত এঁকে দিলেন দেব। শুভশ্রীর চোখেমুখেও ছিল উচ্ছ্বাসের ঝলক। ‘ধূমকেতু’ মুক্তির আগে এই জনজোয়ার, এই ভালবাসা—সম্ভবত সিনেমার সাফল্যের আগাম বার্তাই দিল দুই তারকাকে।