জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্যর অতীত জানতে কাউকে না জানিয়েই অপু মাধবপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এদিকে অপর্ণার মা-বাবা সারারাত মেয়ের চিন্তায় ঘুমাতে পাচ্ছেন না, অন্যদিকে আর্যর মা ঘুমের মধ্যেই অনেক জোরে দরজা খোলার শব্দ শুনতে পান। তার সন্দেহ হয়, এই শব্দ নিশ্চই রাজনন্দিনীর ঘর থেকেই আসছে।
রাজলক্ষ্মী মনে করেন, আর্য অফিসের কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছে। কারণ আর্য ছাড়া কেউ ওই ঘরে ঢোকে না। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কাউকেই চিনতে পারেন না তিনি। মানসী দরজাটা খুলেই ফেলেছিল রাজনন্দিনীর ঘরের কিন্তু রাজলক্ষ্মীর ডাক শুনে পালাতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে যায় মানসী। মাথায় চোট লাগতেই অজ্ঞান হয়ে যায় সে। এমন সময় অপুর মা-বাবা উপস্থিত হয় আর্যর বাড়ি।

তারা জানায়, কোনও ভাবেই অপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না, তাই চিন্তিত হয়ে এখানে এসেছেন যদি কোনও খবর পাওয়া যায়। এরপর মানসীর জ্ঞান ফিরে আসে, ডাক্তার এসে বলেন চিন্তার কিছু নেই। মানসী এবার নিজের অবস্থার জন্য দায়ী করে রাজলক্ষ্মীকে। মানসীর কথা, ওই দরজার ওপার কী এমন আছে যে কেউ কাছে গেলেই উনি বাড়ি মাথায় করেন।
যদি রাজলক্ষ্মী না ডাকতেন তাহলে এই অবস্থা হতো না তাঁর। মানসী জানায়, আজ এই ঘরের রহস্য জেনেই ছাড়বে সে। অর্ক জানায় তার শরীর খারাপ করছে, ওই বিষয় আর না কথা বলতে। কিন্তু মানসী জানায়, আজকে জেনেই তবে শান্তি হবে। এদিকে অপুর বাবা-মা অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে সবটা দেখেন। মানসীকে উপেক্ষা করেই অর্ক ঠিক করে অপুর খোঁজ নেওয়া বেশি জরুরি।
আরও পড়ুনঃ গত পরশুই ওর বাড়িতে দেখা হয়েছিল! অভিনেতা জয় ব্যানার্জির আকস্মিক প্রয়াণে শো’কবিহ্বল তাঁর প্রথম ছবির নায়িকা দেবশ্রী রায়!
অনেকবার আর্যকে ফোন করে অপুকে ফোন না পেয়ে অর্ক, কিন্তু ফোন হয় না পরিসীমা সীমার বাইরে বলে। অন্যদিকে কিছু খারাপ লোক অপর্ণাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, সঠিক সময়ে আর্য সেখানে উপস্থিত হয় এবং মেরে তাদের উচিত শিক্ষা দেয়। তারপর অপর্ণাকে নিয়ে পালিয়ে যায়, সেখান থেকে। ওই লোকগুলো পিছু নিয়েছে দেখে আর্য এক গোপন জায়গায় অপর্ণাকে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকে।