জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“বাবার বয়সি মানুষের সঙ্গে এমন নাচ! লজ্জা লাগলো না?” “পর্দার মা-বাবা কি বাস্তবেও এত ঘনিষ্ঠ?” “বুড়ো বয়সে ভীমরতি, মেয়ের বয়সী অভিনেত্রীর সঙ্গে নাচ!”— অর্পিতা-বিশ্বজিতের পার্টি নিয়ে নেটিজেনদের তিরস্কার! মিঠাই পরিবারের পুনর্মিলনী ভিডিও ভাইরাল হতেই ঝড় সমালোচনার!

জি বাংলার ‘মিঠাই’ (Mithai) ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলও যেমন দর্শকরা আজও মাদক পরিবারকে ভুলতে পারেনি, ঠিক তেমনই পর্দার বাইরেও সেই পরিবারের বন্ধন আজও ভাঙেনি। সম্প্রতি অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ধারাবাহিকের সাফল্যকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী (Biswajit Chakraborty) ,স্বাগতা বসু (Swagata Bose) সহ ‘মিঠাই’ এবং ‘কথা’ পরিবারের অনেক সদস্যরাই। জমজমাট সেই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল একটি রেস্তোরাঁর ক্লাবে।

নাইট ক্লাবে একসঙ্গে সবাই নাচে মেতে উঠতেই সেটির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সমাজ মাধ্যমে। আর তারপর থেকেই শুরু হয় নানান বিতর্ক। দর্শকের একাংশ ‘মিঠাই’ পরিবারের পুনর্মিলনের আনন্দে যোগ না দিয়ে, উল্টে নেতিবাচক মন্তব্য ছুঁড়ে দিতে থাকেন। কেন এমন হয়েছে? অভিনেত্রী অর্পিতার সঙ্গে বিশ্বজিৎ ও স্বাগতার সম্পর্ক কিন্তু বহু পুরোনো। একসঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে শুটিং করার সূত্রেই গড়ে উঠেছিল পারিবারিক সমীকরণ। ধারাবাহিকের গল্পে যেমন মা-বাবার সম্পর্ক ছিল, বাস্তবেও তেমন একটি সহজ বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে।

তাই অনুষ্ঠানে নাচ-গানে একসঙ্গে মেতে ওঠা তাঁদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু নেটিজেনদের একাংশ সেটিকে ভিন্ন চোখে দেখেছেন। সমালোচনার জেরে অর্পিতাকে নানা মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়। কেউ বলেছেন, “বাবার বয়সি মানুষের সঙ্গে এমন নাচ! লজ্জা লাগলো না?” আবার কেউ ব্যঙ্গ করে লিখলেন, “বুড়ো বয়সে ভীমরতি। মেয়ের বয়সী একজনের সঙ্গে জড়াজড়ি করে নাচছে!” যদিও অভিনেত্রী এসব কটাক্ষে গুরুত্ব দেননি। বরং তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পর্দার মা-বাবাকে তিনি নিজেরই মা-বাবা বলে মনে করেন।

অর্পিতার কথায়, “পরিবারের মতো সম্পর্ক তৈরি হলে সেগুলোকে নিছক সমালোচনার চোখে দেখা ঠিক নয়।” তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন শুটিংয়ের সূত্রে পর্দার সম্পর্কগুলোর মধ্যে অন্যরকম টান তৈরি হয়। প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টা একসঙ্গে কাটাতে কাটাতে সেই বন্ধন বাস্তবের থেকেও গভীর হয়ে ওঠে। তাই অনুষ্ঠানে একটু নাচ বা আনন্দ করার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই।” কিন্তু এইরূপ সমালোচনা এবং কটাক্ষ কি এই সম্পর্ক গুলোকে নষ্ট করে দিতে পারে?

এই বিষয়ে অর্পিতা বিশ্বাস করেন, যেমন ভাল মন্তব্যে আনন্দ পাওয়া উচিত, তেমন খারাপ কথাও শোনার মানসিকতা শিল্পীদের থাকা প্রয়োজন। আর সেই শক্তি তাঁর মধ্যে আছে বলেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিয়েছেন। সব মিলিয়ে, ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের শেষ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যে মোদক পরিবারের আবেগ যে আজও টিকে আছে, এই ভিডিও সেটাই আবার প্রমাণ করে দিল। দর্শকের সমালোচনা যতই হোক না কেন, অর্পিতা, বিশ্বজিৎ ও স্বাগতার পারস্পরিক সম্পর্ক একে অপরের কাছে অত্যন্ত মধুর।

Piya Chanda