জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ওদের বন্ডিং সত্যিই খুব ভালো, দুগ্গা-দুগ্গা করে যেন আজীবন এরকমই থাকে”, “কবীর যখন বোনের সঙ্গে খেলে, দেখলে মনে হয় পুতুল খেলছে!”— স্টার জলসার পর্দায় দেবী, বাস্তবে মা কোয়েল মল্লিকের দুই সন্তানকে নিয়ে পুজোর প্রস্তুতি কেমন চলছে?

কলকাতার মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja) মানেই এক বিশেষ আবেগ। শতাব্দী প্রাচীন এই বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর পারিবারিক বন্ধন। অভিনেত্রী হলেও ‘কোয়েল মল্লিক’-এর (Koel Mallick) কাছে এই কয়েকটা দিন মানেই আলাদা জগৎ। পুজো এলে তিনি লাইট-ক্যামেরা-একশন, সবকিছুর থেকে দূরে সরে শুধু পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। বহু বছর ধরেই বাড়ির পুজোয় শাঁখ বাজানোর দায়িত্ব তাঁর উপর। কোয়েলের কাছে পুজো মানে এখন আর কেবল নিজের সাজগোজ নয়, বরং সন্তানদেরও এই উৎসবের আমেজ বোঝানো।

মা হওয়ার পর থেকেই এই চার দিনকে কোয়েল অন্যভাবে উপভোগ করেন। ছেলে কবীরের চোখে পুজোর উচ্ছ্বাস তাঁকে নিজের ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়, আর ছোট মেয়ে কাব্যের জন্য এটাই প্রথম পুজো। কবীরের জামাকাপড় থেকে কাব্যের জন্য বিশেষ পোশাক, সবকিছুর দায়িত্ব তিনি আগে ভাগেই সেরে রেখেছেন। নিজেরটা করার জায়গায় পরিবারের ছোটদের আনন্দকেই বরাবর অগ্রাধিকার দেন কোয়েল। প্রসঙ্গত, এই বছরও স্টার জলসার মহালয়া ‘মাতৃ রূপেন সংস্থিতা’তে কোয়েল মল্লিক হচ্ছেন মা দুর্গা।

এই নিয়ে তিন বছর তিনি একটানা দেবী হচ্ছে স্টার জলসায়। এই প্রসঙ্গে কোয়েল এদিন জানালেন, ছেলে কবীরকে ছোট থেকেই তিনি গল্প শোনান, মা দুর্গা কীভাবে অসুরের দমন করেন। ছেলের প্রথম মহালয়া দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে কোয়েল বলেন, “প্রথম যেদিন মহালয়ার শ্যুটিং করতে এসেছিলাম আগেরবার। কবীরও এসেছিল আমার সঙ্গে। সেই থেকেই যখনই আমি শ্যুটিং করতে বেরোই অন্য কোনও, কবীর বলে যে তুমি কি আবার দুর্গা হতে যাচ্ছো! শ্যুটিংয়ে এসেই কবিরের প্রথম প্রশ্ন ছিল, ত্রিনয়ন কী?

তখন একটু ছোট ছিল বোঝাতে পারিনি। এখন একটু বড় হয়েছে বলে বুঝিয়েছি যে, প্রতিটা মানুষের ভিতরে যে সিক্সথ সেন্স থাকে। যেটার কারণে আমরা বুঝতে পারি কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক, সেটাই মা দুর্গার তৃতীয় নয়ন।” বাড়ির ছোট্ট পার্বতী কাব্যকে নিয়ে কোয়েল বলেন, “ওর এখন মাত্র ন’মাস বয়স। এখন এতটাই ছোট যে বোঝালেও বুঝবে না। নিশ্চই বড় হয়ে দেখবে যে মকে কেমন লাগছে দুর্গা রূপে। এখন আধ-আধ কথা বলতে শুরু করেছে। সারাক্ষণ মাম্মা-পাপা বলেই যাচ্ছে।

কাব্যর সঙ্গে কবীরের বন্ডিং সত্যিই খুব ভালো, দুগ্গা-দুগ্গা করে যেন আজীবন এরকমই থাকে। কবীর যখন বোনের সঙ্গে খেলে, দেখলে মনে হয় পুতুল খেলছে। মাঝেমাঝে কাব্য বিরক্ত হয়ে কান্না শুরু করে। পরক্ষনেই আবার দাদার পিছু পিছু হামাগুড়ি দিয়ে এদিক ওদিক যাবে। সবমিলিয়ে ওদের সঙ্গেই কেটে যায় আমার ছুটির দিনগুলো। এই বছর পুজোর চারটে দিন খুব স্পেশাল। মল্লিক বাড়িতে কাব্য প্রথম দুর্গাপূজা। চারজন মিলে হই-হই করে কাটাবো এমনটাই ইচ্ছে।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda