জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণারা বাড়ি ফিরতেই রুম্পা আলাদা করে কথা বলতে চায় অপর্ণার সঙ্গে। কিন্তু অপর্ণার মা বাধা দিয়ে বলেন অনেক রাত হয়েছে, এখন আলাদা করে কথা বলার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে সতীনাথ বাবুকে ডাক্তার কিছু একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে, যার ফলে চিন্তিত হয়ে যান তিনি।
এদিকে সিংহ রায় বাড়িতে রাজলক্ষ্মী আর আর্য দুজনে অনুমান করতে পারছে, কিছু একটা অস্বাভাবিক ঘটেছে অপর্ণাদের সঙ্গে। আর্য জানায়, এর আগে কোনদিনও অপর্ণার মাকে এমনভাবে কথা বলতে দেখেনি সে। এমনকি সতীনাথ বাবুও কিছু একটা বলতে চেয়েও বললেন না। এই বিষয়ে রাজলক্ষ্মীও চিন্তা প্রকাশ করে।

রাজলক্ষ্মী জানায়, অপর্ণাকে দেখেই তার মনে হয়েছে, শুধুমাত্র বাবাকে নিয়ে এসে চিন্তিত নয়। বরং কিছু একটা সে বলতে চায়, যেটা পরিস্থিতির চাপে বলে উঠতে পারেনি। আর্যকে রাজলক্ষ্মী পরামর্শ দেয় একবার আলাদা করে অপর্ণার সাথে কথা বলতে। এদিকে অপর্ণাকে তার মা দিব্যি দেয়, বাবাকে আর্যর ব্যাপারে কিছু জানালে তার মরা মুখ দেখবে সে।
ঠিক সেই সময় আর্য ফোন করে। অপর্ণার মায়ের কথা অপর্না ফোনটা ধরে। আর্য জানতে চায় কি হয়েছে তার। কিন্তু অপর্না, সবটা লুকিয়ে যায় এবং বলে বাবাকে কোনদিনও এমন করে শুয়ে থাকতে দেখেনি বলে তার কষ্ট হচ্ছে। এরপর রাতে অপর্ণা কিছুতেই ঘুমাতে পারে না সব ঘটনা মনে করে। এদিকে আর্যও চোখের পাতা এক করতে পারছে না।
আরও পড়ুনঃ টলিউডের ‘লক্ষ্মীছেলে’ এবার পরিচালক! মহাভারতের মহাকাব্যকে নতুন রূপ দান চূর্ণী-কৌশিকপুত্র উজান গঙ্গোপাধ্যায়ের! আন্তর্জাতিক স্তরে ‘কুরুক্ষেত্র’ আসছে উজানের প্রথম পরিচালনায়!
অপর্ণা ছাদে যায়, ফোন করে আর্যকে একবার সবকিছু জানাতে। তখন সেখানে রুম্পা উপস্থিত হয়, সেও জানায় যে অপর্ণার কথা ভেবে রাতে ঘুম আসছিল না। অপর্ণা ভেঙে পড়ে রুম্পাকে বলে তার মা সমস্ত কিছু জেনে গেছে। আর্যর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ভেঙে দিতে বলেছে তার মা। রুম্পা নিজেকে দোষী মনে করে, ঠিক তখনই অপর্ণার মা সেখানে এসে অপুর ক্ষতি করার জন্য রুম্পাকে যা নয় তাই শোনায়।