জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এ (Chirodini Tumi Je Amar) এই মুহূর্তে উত্তেজনা চরমে। একদিকে আর্য অতীতকে পেছনে রেখে অপর্ণাকে নিয়ে ভবিষ্যতের কথা ভাবছে। এতদিন ধরে আর্যর মুখ থেকে ভালবাসার স্বীকারোক্তির জন্য অপর্ণা অনেক অপেক্ষা করেছে। অবশেষে আর্য বুঝতে পেরেছে যে, যতই দূরত্ব তৈরি করুক অপর্ণা থেকে দূরে যাওয়া অসম্ভব। কিন্তু দুজনে কাছে আসার এই মুহূর্তে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মীরার ষড়যন্ত্র এবং মা-বাবার আপত্তি।
একদিকে মীরা সতীনাথকে গিয়ে আর্য-অপর্ণার সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। যার ফলে তিনি চূড়ান্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপতালে ভর্তি করা হলে, অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। সেই টাকা সবার অজান্তে আর্য দিয়ে দেয়। তা সত্ত্বেও নিজের মেয়ের সঙ্গে আর্য সম্পর্ক আছে জেনে, অপর্ণা মা অতীতের সব উপকার আর সব ঋণ ভুলে গিয়ে একপ্রকার যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করতে শুরু করে আর্যর সঙ্গে। তিনি চান না আর্যর সঙ্গে অপর্ণার বিয়ে হোক, অথচ দুদিনের চেনা ডাক্তারকে মেয়ের স্বামী বানাতে তার কোনও আপত্তি নেই।

ধারাবাহিকের এই প্লট নিয়েই রীতিমতো ক্ষুব্ধ দর্শকের একাংশ। প্রথমত, তারা মেনে নিতে পারছে না আর্যর এমন অপমান। দ্বিতীয়ত, প্রধান চরিত্রের থেকে পার্শ্ব চরিত্রদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ধারাবাহিক। সমাজ মাধ্যমে কেউ বলেছেন, “ছিঃ রাইটার্স ছি! আপনারা দৃশ্যটাকে আরেকটু ভালো ভাবে সাজাতেই পারতেন। আর্য-অপর্ণা নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটাচ্ছে আর সেটার সাক্ষী অপুর মাকে রাখলেন, ছি! এটা খুবই নিম্ন রুচির পরিচয়। মাকে যদি জানানোরই ইচ্ছে ছিল, অন্যভাবেও দেখানো যেত সেটা।”
অন্যজনের ক্ষোভ, “অপর্ণার মা, মনে সুমির এত বিচ্ছিরি মুখের ভাষা যে আর বলার কথা নয়। যে মা নিজের মেয়ের চরিত্র নিয়ে খারাপ কথা বলে, আর্যর পবিত্র ভালবাসাটাকে নোংরা বলে। সে আর যাই হোক ভালো মা তো কখনোই হতে পারে না। আর্য স্যারের মতো দেবতুল্য মানুষ কে উনি কতটা নোংরা চোখে দেখলেন! খুবই সস্তা এবং বাজে দৃশ্য ছিল।” কেউ আবার অপর্ণার উদ্দেশ্যের বলেছেন, “আর্য স্যার এতদিন নিজের মনের কথা বলতে গিয়ে বলেনি, তার কারণ উনি জানতেন যে সমাজ সম্পর্কটা মেনে নেবে না।
আরও পড়ুনঃ “আমার আর শুভশ্রীর মধ্যে কোনওদিনই খারাপ সম্পর্ক ছিল না, সবটাই দর্শকদের ধারণা” – দাবি মিমি চক্রবর্তীর! ‘এখন সবাই ছবির প্রোমোশনের স্বার্থে বন্ধু হচ্ছে, যেমনটা দেব-শুভশ্রীর ধুমকেতুর ক্ষেত্রে হয়েছিল’ কটাক্ষ নেটিজেনদের
কিন্তু অপর্ণা অনেক বড় মুখ করে বলেছিল যে ‘আপনি মনের কথাটা বলুন শুধু, তারপর বাকিটা আমি সামলে নেবো।’ এবার সেই সময়টাই এসেছে। এবার আমরাও দেখতে চাই অপর্ণা ভালবাসার জন্য, তাঁর আর্য স্যারের জন্যে কী কী করতে পারে! আর কতদূরই বা যেতে পারে অপর্ণা। আর্য স্যারযে খুব অপমানিত হতে হচ্ছে অপর্ণার বাবা-মায়ের কাছে। সেই সব কিছু সামলাতে এবার অপর্ণাকেই হবে। আর্য স্যার যে তাদের জন্যে জীবন দিয়ে দিয়েছে, এটা ভুলে গেল নির্দ্ধিধায়। দেখি কবে আবার জ্ঞান ফিরে সবার।”