জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পারুলকে ফাঁসিয়েছে মা আর শিরীন! রাগে শিরীনকে কষিয়ে চ’ড় বসালো রায়ান! পারুলের বিরুদ্ধে দুই ষড়য’ন্ত্রকারীকে জেলে পাঠাবে রায়ান! পর্ব ধুন্ধুমার

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুলের পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি শুনতে চায় আদালত। কিন্তু পারুল জানায় যে তার হয়ে কেউ দাঁড়ায়নি। এই কথা শুনে বিচারপতি সরকারের তরফে আইনজীবীর ব্যাবস্থা করতে বলেন, যে পারুলের হয়ে লড়বে। কিন্তু জানা যায় যে সব আইনজীবীরাই ব্যাস্ত। পারুল ভাবতে থাকে, এবার আশার আলো শেষ। ঠিক সেই মুহূর্তেই দেবদূতের মতো উপস্থিত হয় রায়ান! সঙ্গে করে একজন দক্ষ আইনজীবীকে নিয়ে এসেছে সে।

মহামান্য আদালত রায়ানের পরিচয় জানতে চাইলে সে, বলে যে পারুল তার স্ত্রী। বিচারপতি প্রশংসা করেন যে, মায়ের করা অভিযোগের বিরুদ্ধে গিয়ে স্ত্রীয়ের পাশে দাঁড়াচ্ছে সে। রায়ানের আনা আইনজীবী পারুলের হয়ে একদিনের জামিনের আবেদন করেন, যাতে সঠিক প্রমাণ জোগাড় করে আনতে পারে সে। আদালত একদিনের বদলে একবেলা মুক্তি দেয় পারুলকে। রায়ানের ফিরে আসা নিয়ে চিন্তায় রায়ানের মা আর শিরীন।

যদি পারুলকে নির্দোষ প্রমাণ করে দেয় রায়ান তাহলে দোষ চাপানোর জন্য তাদেরকেই জেলে যেতে হবে। টগরও ভয়ে আছে যে, পারুল বাড়ি ফিরল তাঁকে আর ছাড়বে না। রায়ানের মা বোঝাতে আসে রায়ানকে যে নিজের ভবিষ্যতের কথা, কেরিয়ারের স্বপ্ন— সব ভুলে রায়ান দেশে ফিরল চোর পারুলের পাশে দাঁড়াতে! রায়ানও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় মাকে যে, তাঁর জন্যই এত পড়াশোনা ছেড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছে সে।

রায়ান জানায়, একসময়ে যখন মিথ্যে খুনে’র দায়ে ফেঁসে গিয়েছিল, তখন পারুলই তাঁকে বাঁচিয়েছিল। তাই পারুল এবার মিথ্যে ভাবে ফাঁসতেই কৃতজ্ঞতার খাতিরে আসতে বাধ্য হয়েছে সে। প্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে রায়ানের মনে পড়ে, সেদিন ঘটনার সময় পারুল তাঁর সঙ্গে কথা বলতেই ব্যস্ত ছিল। কিন্তু আদালত আরও পোক্ত প্রমাণ চায় বলে কোনও ভিডিও আছে কিনা জোগাড় করতে ছোটে তারা। অবশেষে মনোজিৎ এর গাড়ির ড্যাস-ক্যাম থেকে ভিডিও প্রমাণ জোগাড় করে আদালতে পেশ করা হয়।

আদালত এবার অভিযোগের ভিডিও এবং আর পারুলের অংশ প্রমাণের ভিডিও তুলনা করে দেখে জানায় যে, অভিযুক্তর ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। আদালত পারুলকে নির্দোষ ঘোষণা করে, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা ওঠে। পারুল জানায়, এটা পারিবারিক বিষয়ে, নিজেদের মতো মিটিয়ে নেবে তারা। মামলা শেষে হতেই পারুল আবেগী হয়ে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে রায়ানকে। দাদুর অপরেশন বন্ধ করে এদিকে বাড়ির সবাই ফিরে এসেছে পারুলের জন্য।

পরিস্থিতি ঠিক না দেখে শিরীন পালিয়ে যেতে চায়, কিন্তু সেটা হতে দেয় না রায়ানের মা। বাড়ি ফিরতেই রায়ান দোষীদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে চায় এবং পুলিশও ডাকে। শিরীন এসব দেখে রায়ানকে বলে, পারুলের মতো একটা বংশ পরিচয়হীন মেয়ের জন্য পড়াশোনা ভুলে, শিরীনকেও ভুলে যাচ্ছে রায়ান। অনেকক্ষণ সহ্য করার পর রায়ান রেগে গিয়ে চড় বসিয়ে দেয় শিরীনের গালে!

Piya Chanda