জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য নিজেকে সামলাতে পারছে না ফুল গাছের শোকে। রাজলক্ষ্মী বারবার করে সান্তনা দিচ্ছেন যে, সব আশা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এদিকে অপর্ণা কাজে বেরোবে, এমন সময় হিন্দোল এবং তার মা হাজির। অপর্ণা তাদের দেখে চলে যেতে চাইলেও, হিন্দোলের মা একপ্রকার কটাক্ষ করেই বলেন অপর্ণাকে বাড়িতে থাকতে।
তিনি নিজের উদাহরণ টেনে বলেন মেয়েদের এত বাহির মুখী হলে হয় না। একসময় ছেলে হওয়ার পর তিনি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন আর বিয়ের পর অপর্ণাকেও সংসারই সামলাতে হবে। মায়ের কথায় অপর্না কষ্ট পেয়েছে ভেবে হিন্দোল ক্ষমা চেয়ে নেয়। অপর্ণা তাকে কিছু ব্যক্তিগত কথা বলার জন্য অফিসের সামনের ক্যাফেতে দেখা করতে বলে। অপর্ণার অনুপস্থিতিতেই হিন্দোলের মা এবং অপর্ণার বাবা মিলে তিন দিনের মধ্যে বিয়ে ঠিক করে ফেলে।
অন্যদিকে রাজলক্ষ্মীও ধীরে ধীরে আশা ছেড়ে দিচ্ছে, তখনই তারা সুন্দরী মা এসে জানান যে কিচ্ছু শেষ হবে না। এরপর মাতঙ্গীর ফুল নিয়ে গাছটার গোড়ার মাটিতে পুঁতে দেন। তারা সুন্দরী মা জানান, গাছটাও যেমন বেচে উঠবে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক গুলো আবার ফিরে আসবে। তার জন্য শুধু প্রয়োজন একটু যত্ন আর চেষ্টার। ওদিকে অফিসে আর্য পৌঁছে দেখে যে অপর্ণা অনুপস্থিত। অপর্ণা এলে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে নিজের কেবিনে চলে যায় সে।
অপর্ণা অফিসে আসতেই তাকে এ কথা জানানো হয়। আর্যর সঙ্গে অবশেষে কথা বলতে পারবে ভেবে, কিছুটা স্বস্তি পায় সে। অপর্ণাকে দেখে আর্য শুধুমাত্র কাজ সংক্রান্ত প্রশ্ন করে আর ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ এড়িয়ে যায়। অপর্ণা বারবার চেষ্টা করে আর্য সঙ্গে নিজের মনের কথা ভাগ করে নিতে। কিন্তু আর্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে, অপর্ণার বাবাই ঠিক। একান্ত অর্থের লোভ না থাকলে এত বয়স্ক একজন মানুষের সঙ্গে কেউ মেয়ের বিয়ে দেয় না।
আরও পড়ুনঃ “দেবী মা না ছাই, বড়লোক দেখে ঘাড়ে ঝুলে পড়ার চেষ্টা!” “আয়ুষ্মানের সঙ্গে বেমানান, কুসুমকে অসহ্য লাগছে!” “সব সময় কাঁদো কাঁদো গলায় কথা বলে কেন?” “ন্যাকা কোথাকার, ডায়লগ ডেলিভারি সবসময় এক!”— কুসুম চরিত্র ঘিরে ফের ক্ষুব্ধ দর্শক, জি বাংলার ধারাবাহিকে নতুন বিতর্ক!
অপর্ণা কাঁদতে কাঁদতেই বেরিয়ে যায়। হিন্দোল তাকে ফোন করে জানায় অফিসের সামনে পৌঁছে গেছে, অপর্ণাও তার সঙ্গে চলে যায়। আর্য পরে অপর্ণার খোঁজ করতে গিয়ে দেখে গাড়িতে করে হিন্দোলের সঙ্গে কোথাও একটা যাচ্ছে সে। ক্যাফেতে গিয়ে অপর্ণা হিন্দোলকে বিয়েটা ভেঙে দিতে বলে। অপর্ণা জানিয়ে দেয় যে আর্যকে ভালোবাসে। এদিকে নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে অপর্ণার বাড়িতে উপস্থিত হন রাজলক্ষ্মী।