জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

প্রেমের ছায়ায় রায়ান-পারুলের প্রতিযোগিতা, আবার প্রতিযোগিতার ছায়াতেই প্রেম! শ্বশুরবাড়ির নিয়ম ভেঙে প্রতিযোগিতায় নাম, মৌসুমীকে নিয়ে আশুতোষ বাবুর চরম সিদ্ধান্তে কেঁপে উঠল পরিবার! পারুল কি পারবে সবটা ঠিক করতে?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুলকে নিয়ে গর্বে বুক ফুলে উঠেছে রায়ানের। হঠাৎ তার বন্ধুরা এসে নানান রকম জেরা করতে শুরু করে, পারুলের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে। রায়ান বলে দেয় সবাইকে যে, তারা দু’জনেই এই সম্পর্কটা এখনও সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেনি। সেই জন্যই কাউকে বলেনি এতদিন। পারুল রায়ানের এই রূপে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু রায়ান আড়ালে নিয়ে গিয়ে স্পষ্ট করে দেয় যে, শুধুমাত্র তাঁকে প্রতিযোগী ভাবে বলেই বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। যাতে পারুল হেরে গিয়ে পিছিয়ে না পরে, আর সমানে সমানে টক্কর হয় রায়ানের সঙ্গে। পারুল আবার আশাহত হয় রায়ানের ভালোবাসা নিয়ে। এদিকে বাড়ি ফিরতেই রায়ানকে তার মা অনেক কথা শোনায় পারুলের পাশে দাঁড়ানোর এবং মায়ের হেরে যাওয়াতে খুশি হওয়ার জন্য।

রায়ানও যোগ্য জবাব দিয়ে দেয় যে, পারুল নিজের দক্ষতায় জিতেছে। এখানে রায়ান কিছুই করেনি আর তাছাড়া পারুল এত অল্প সময় রায়ানকে যথেষ্ট চেনে, যেটা হয়তো তার মা মেনে নিয়ে পারছেন না। রায়ান মাকে বলে চক্রান্ত না করে সৎ পথে লড়াই করতে এরপর। লুকিয়ে সবটা শুনে নেয় মনোজিতের স্ত্রী। পরদিন পারুল নিয়ে গিয়ে রায়ান দেখায় যে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পারুলের ছবি দিয়ে হডিং পড়েছে।

প্রথমে স্ত্রীর সাফল্যে খুশি হলেও পরে এক দুই কথায় আবার ঝগড়া শুরু হয়ে যায় তাদের। বাড়ি ফিরে সবাই একসঙ্গে খেতে বসেছে, আর পারুলের প্রশংসা করছে। হঠাৎ মনোজিতের স্ত্রী এসে সবাইকে লুচি দিয়ে বলেন যে, পারুল শুধু জিতেছে তাই নয়। কার সঙ্গে জিতেছে সেটা আরও বড় চমক। তারপর সবার সামনের সত্যিটা বেরিয়ে আসে যে রায়ানের মা শ্বশুরবাড়ির নিয়ম উপেক্ষা করে লুকিয়ে প্রতিযোগিতা নাম দিয়েছিল।

আশুতোষ বাবু এই ঘটনায় প্রচন্ড রেগে গিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন ছেলে-বৌমাকে। তিনি জানান, পারুলরা ছোট তাই ওরা যেটা পারে সেটা বড়দের মানায় না। এমনকি সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করার কথা বলেন তিনি। বাড়ির এই অশান্ত পরিস্থিতি রেখে রায়ানও পুজোর সময় শহর ছাড়া সিদ্ধান্ত নেয়। পারুল সেটা হতে দেবে না বলে, দাদুর কাছে অনুমতি চায় বাড়িতেই দুর্গাপুজো করার।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।