জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কুসুম’ (Kusum) এখন এমন এক মোড়ে এসে পৌঁছেছে, যেখানে দর্শকরা যেন আরও বেশি টান অনুভব করছেন চরিত্রগুলোর প্রতি। শুরুতে কুসুমকে নিয়ে যতই কটাক্ষ হোক, এখন সেই সমালোচনা অনেকটাই থেমে এসেছে। বরং প্রতিদিন টিভির পর্দায় তার সংগ্রাম আর হাল না ছাড়ার মনোভাবই নতুন করে কৌতূহল তৈরি করছে দর্শকদের।
গল্পে ইন্দ্রাণীর মন জেতার চেষ্টায় কুসুম প্রতিবারই ব্যর্থ হলেও, তার জেদ আর অদম্য মনোবলই যেন চরিত্রটাকে আরও গভীরতা দিয়েছে। আর ঈশানের সঙ্গে তার বন্ধুত্বও দর্শকদের কাছে এক অন্যরকম ভালোলাগার জায়গা। আয়ুষ্মানও আস্তে আস্তে কুসুমের উপর ভরসা করতে শুরু করেছে। এই সম্পর্কগুলির টানাপোড়েনই পুরো গল্পটাকে ঘুরিয়ে দিয়েছে অন্য দিকে। এদিকে, ব্যবসার প্রচারের জন্য যে বিশেষ বিজ্ঞাপনী ভিডিও বানানো হয়েছিল,
সেখানে কুসুম আর আয়ুষ্মানকে বসতে হয় বর-কনের সাজে। মালাবদল থেকে সিঁদুরদান, সব আচার অনুষ্ঠানই হয় শুটিংয়ের অংশ হিসেবে। যদিও এটা কেবল অভিনয় ছিল, কুসুমের কাছে মুহূর্তটা যেন সত্যিই জীবন বদলে দেওয়ার মতো ছিল। তার কাছে আয়ুষ্মানের সিঁদুর কেবল শুটিং নয়, বরং এক অমোঘ সত্য। শুটিংয়ের পর টিম কুসুমকে বলে শাঁখা-পলা আর সিঁদুর খুলে ফেলতে, কিন্তু কুসুম তা মানতে নারাজ।
তার কাছে এই সাজ কেবল কাজের অংশ নয়, বরং সম্পর্কের প্রতীক। নতুন প্রোমোতেই সেই টানাপোড়েন আরও পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, লুকিয়ে লুকিয়ে কুসুম নোয়া পরে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে যেন তার সিঁথির সিঁদুর কখনও না মুছে যায়। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই বিপদ নেমে আসে। হঠাৎ আয়ুষ্মানের চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে কুসুম দেখে, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে সে।
আরও পড়ুন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে স্বীকৃতি পেল পারুল, শেষ রাউন্ডে বাজিমাত, জয় মুকুট উঠল মাথায়! স্ত্রীর সাফল্যে উজ্জ্বল হলো রায়ানের মুখ! মৌসুমীর সঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়ল শিরীনেরও সব আশা!
এই দৃশ্য কুসুমের মনে আরও গভীর অস্থিরতা তৈরি করেছে। নোয়া খুলে ফেলার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে ভেবে সে নিজেকেই দোষারোপ করতে থাকে। একদিকে দেবী মায়ের প্রতি বিশ্বাস, অন্যদিকে আয়ুষ্মানকে হারানোর ভয়— এই দুইয়ের টানাপোড়েনেই গল্পের গতি বেড়ে উঠেছে আরও রোমাঞ্চকর হয়ে। দর্শকরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কুসুমের এই বিশ্বাস তাকে কোথায় নিয়ে যায় এবং আয়ুষ্মানকে কী জীবনে নিজের করে পাবে সে!