জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, প্রতিযোগিতার অন্তিম পর্যায়ে এসে রায়ান পারুলকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন রায়ানের বাবা এবং সবচেয়ে বেশি অখুশি শিরীন আর মৌসুমী। শেষ রাউন্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয় এরপর, একদিকে শশুর-শাশুড়ি, অন্যদিকে ছেলে-বৌমা।
এই রাউন্ডের খেলা হলো যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনে মিল কতটা। মানে স্বামীর কী কী পছন্দ, সেটা স্ত্রীরা অক্ষরে অক্ষরে জানেন কিনা। মৌসুমী স্বাভাবিকভাবে খুব খুশি হয় ভেবে যে রায়েনকে এক ভাগও চেনে না পারুল। কিন্তু খেলা শুরু হতেই পাল্টে যায় সবকিছু। প্রথম প্রশ্ন করা হয়, স্বামীদের প্রিয় ফুল কী? রায়ানের মা-বাবা উত্তর দেন শিউলি। এদিকে রায়ান-পারুলও উত্তর দেয়, সূর্যমুখী।
প্রথম প্রশ্নের পর দু’জনেই এক জায়গায় থাকে। এরপর প্রশ্ন আসে যে স্বামীদের প্রিয় খাওয়ার কী? রায়ানের বাবার প্রিয় খাবার যে লুচি-মাংস এটা মৌসুমী জানে। সেই জন্য ওদের উত্তর ঠিকই হয়। অন্যদিকে, মৌসুমী ভাবে পারুল জীবনে যে খাবার দেখেনি তার নাম লিখবে কী করে! কিন্তু পারুল বার্গার লিখে সেই পয়েন্টও জিতে যায়। এমনভাবে প্রশ্ন-উত্তরের পালা চলতে থাকে।
প্রতিটা ধাপে পারুলও সমান টক্কর দিতে থাকে মৌসুমিকে। শেষ প্রশ্নের জিজ্ঞেস করা হয়, স্বামীরা যদি একদিনের রাজা হতেন, তাহলে নিজেদের কোথায় দেখতে চাইতেন? এই প্রশ্নের উত্তর মিলাতে পারে না মৌসুমী। কিন্তু পারুল ঠিক লিখে দেয় যে, রায়ানের জীবনের স্বপ্ন নিজেকে নাটকের মঞ্চে দেখা। স্বাভাবিকভাবেই পারুল আজকের দশভূজা জিতে যায়। শিরীন রেগে চলে যায় সেখান থেকে।
আরও পড়ুনঃ রাসমণি’তে রামকৃষ্ণ রূপে আজও দর্শকের মনে রয়েছেন তিনি! আবার রামকৃষ্ণদেব রূপে পর্দায় ফিরছেন সৌরভ সাহা! গুঞ্জন টলিপাড়ায়
পারুলের উপর দর্শক থেকে শুরু করে বিচারক সবাই মুগ্ধ। বিজেতার খেতাব আর মুকুট তুলে দেওয়া হয় পারুলের মাথায়। কিন্তু মৌসুমীর মুখ কালো হয়ে গেছে দেখে পারুল বলে, তার জেতার পেছনে মৌসুমীর অবদানও কিছু কম নয়। উনি যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বলেই পারুলের জেতা সম্ভব হয়েছে। এই কথা শুনে রায়ানের বাবা খুশি হন, আর নিজের স্ত্রীকে শিখতে বলেন পারুলের থেকে।