জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য অপর্ণার রাগ ভাঙাতে হাজার রকমের চেষ্টা করছে। কিন্তু অপর্ণা কিছুতেই আর্যর কথায় গলছে না। পুজোর পর প্রসাদ বিতরণ করতে গিয়ে হুলুস্থূল কান্ড বাঁধিয়ে ফেলে দু’জনে। অপর্ণার মা আর্যকে আশ্বাস দেন যে, খুব তাড়াতাড়ি তার মেয়ের রাগ ঠিক পড়ে যাবে।
আসলে এটা তাঁর রাগ নয়, বরং অভিমান। এদিকে রাজলক্ষ্মীও বুঝতে পারেন, এবার সত্যিই কিছু করা দরকার আর্য আর অপর্ণাকে আবার আগের মতো জায়গায় দাঁড় করাতে হলে। তাই তিনি সকলকে ডেকে পাঠান, জানান যে তাদের পুজোর ভোগ রান্না করে বাড়ির লোকেরা এবং সেই ভোগই গ্রামের সকলে খায়। রাজলক্ষ্মী নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করে যেন এবার অপর্ণা ভোগটা রান্না করে।

একা এতজনের রান্না সম্ভব নয়, তাই আর্যকে সাহায্য করতে বলা হয়। যথারীতি দু’জনে রান্না করতে যায়। সেখানেও আর্য অনেক চেষ্টা করে অপর্ণার অভিমান ভাঙাতে, কিন্তু পরে না। কখনও সবজি কাটার অজুহাতে, আবার কখনও রান্না করার, ক্লান্ত হয়ে আর্য একটা ফন্দি করে। হঠাৎ বুকে হাত দিয়ে শুয়ে পড়ে সে। অপর্ণাকে জানায়, এটাই তাদের শেষ দেখা।
লুকিয়ে লুকিয়ে মজা দেখে রাজলক্ষ্মী আর অর্ক। অপর্ণা খুবই ভেঙে পড়ে আর্যর পরিস্থিতি দেখে, পরক্ষণেই বুঝতে পারে সবটা নাটক! আরও রেগে যায় সে। এরপর অপর্ণার বাবা একান্তে আর্যর কাছে ক্ষমা চান এবং অপর্ণাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার করে দিতে চান তিনি। বিকেলে সন্ধ্যা আরতির পর আর্যর উপর অভিমান কিছুটা কমে অপর্ণার। গান গাইতে বলা হয় অপর্ণাকে।
আরও পড়ুনঃ “শাঁখা-পলা, সিঁদুর পরার অর্থ একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা! ইচ্ছে থাকলে বিয়ে করো!” “রীতি-রেওয়াজ নিয়ে ছেলেখেলাটা ফ্যাশন নয়, সংস্কৃতির অপমান!”— সধবা বেশে জেসমিনের বরণ ও সিঁদুর খেলা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া!
তার গান শুনে সবাই রীতিমতো আপ্লুত। আর্য ক্যামেরাবন্দী করে সেই মুহূর্ত, দূরে দাঁড়িয়ে রাজলক্ষ্মীর অস্বাভাবিক লাগে অপর্ণার গলায় এই গান! ওদিকে কিঙ্কর অপর্ণা-আর্যকে আরও কাছাকাছি আসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। পরদিন অষ্টমী পূজোতে আর্যর উপহার দেওয়া শাড়ি পড়ে অদ্ভুত আচরণ করে অপর্ণা। এমন করতে থাকে, যেন কাউকে সে চেনে না!