জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বিয়ের আসরে রুক্মিণীর প্রত্যাবর্তনে থমকে গেল গোপাল, ভেঙে গেল অভিনন্দার বিয়ে! গাঁটছড়া খুলে রুক্মিণীর দিকে ছুটল গোপাল, বিস্ফোরণ হলো অভিমানের! প্রেম আর দায়িত্বের টানাপোড়েনে দিশেহারা গোপাল কী সিদ্ধান্ত নেবে এবার?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মাঝপথে পারুলদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। রায়ান দিশেহারা হয়ে পড়ে এমন পরিস্থিতিতে যে কি করবে। রুক্মিণীও ভেঙে পড়ে, গোপালকে চিরজীবনের মতো হারিয়ে ফেলার আশঙ্কায়। পারুল হঠাৎ লক্ষ্য করে সামনে একটা গাড়ি রয়েছে। রায়ানকে পরামর্শ দেয় পারুল যে গোপাল-রুক্মিণীকে এক করতে হলে এই গাড়িটা চুরি করতে হবে, হাতে আর সময় নেই।

রায়ানও সেই মতো গাড়ির লক ভাঙতে শুরু করতেই, গাড়ির আলো জ্বলে ওঠে আর আওয়াজ হতে শুরু করে। ওদিকে গোপালের বিয়ে প্রায় শেষের পথে। দু’জন পুলিশ সেখানে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন, পারুলদের গাড়ি চুরি করতে দেখে তারা বাইক নিয়ে পেছনে ধাওয়া করেন। রায়ান প্রাণপণে গাড়ি ছুটিয়ে অবশেষে গোপালের বিয়েতে উপস্থিত হয়। কিন্তু পুলিশ ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না, উল্টে চুরির অভিযোগে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, Parineeta Today Full Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব, পরিণীতা নতুন পর্ব

পারুল বলে পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে চুরিটা তাদের করতে হয়েছে। পারুল বলে তার বৌদিকে না জানিয়েই দাদার আবার দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই তারা আটকাতে এসেছে, পুলিশ আর বাধা দেয় না। ওদিকে সিঁদুরদানের সময় এসে গেছে। গোপাল অভিনন্দাকে জানায়, বাধ্য হয়ে বিয়েটা করলেও এখনও তার মনে রুক্মিণীই আছে। এটা জেনেও কি সে বিয়ে করতে চায়! অভিনন্দা বলে কোনও আপত্তি নেই।

সিঁদুরটা পরাতে যাবে গোপাল, ঠিক তখনই রুক্মিণী এসে সামনে দাঁড়ায়। গোপালের হাত থেকে সিঁদুর পড়ে যায়। গাঁটছড়া খুলে সে রুক্মিণীর কাছে ছুটে যায়। রুক্মিণী বলে সে গোপালের সঙ্গেই থাকতে চায় বলে ফিরে এসেছে। কিন্তু গোপাল বলে সে খেলনা নয় যে, রুক্মিণী ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে যাবে আবার ইচ্ছে হলে ফিরে আসতে চাইবে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিনন্দাও অভিযোগ তোলে রুক্মিণীর উপর যে তার আর গোপালের জীবনের সুখ কেড়ে নিতে রুক্মিণী এসেছে।

অভিনন্দার মাও স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রুক্মিণী হঠাৎ করে ভালবাসা বুঝতে পারায় গোপালকে আর ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না। তার মেয়েকে তিনি কিছুতেই লগ্নভ্রষ্ট হতে দেবেন না, গোপালকে বিয়েটা করতেই হবে। অভিনন্দা বলে তার বিয়েতে আর বাড়িতে রুক্মিণীর কোনও জায়গা নেই। হাত ধরে বের করে দেয় তাকে বাড়ি দিয়ে। গোপাল দ্বিধায় পড়েছে রুক্মিণীকে গ্রহণ করবে নাকি অভিনন্দার সম্মান বাঁচাবে!

Piya Chanda