জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুলরা একেবারে গোপালের বিয়ের শেষ পর্যায় এসে উপস্থিত হয়। রুক্মিণীকে সামনে দেখে গোপাল সিঁদুর হাত থেকে ফেলে দিয়ে উঠে আসে। রুক্মিণী নিজের ভালোবাসার স্বীকারোক্তি দিতেই গোপালের অভিমান ফেটে পড়ে তার উপর।
সেই সঙ্গে আবার অভিনন্দার মাও বলেন ডিভোর্স যখন হয়ে গেছে, গোপালের কোনও দরকার নেই রুক্মিণীর সঙ্গে সংসার করার। অভিনন্দাকেই বিয়ে করতে হবে জানান তিনি। এদিকে গোপালের কাকি অভিনন্দাকে উস্কানি দিতে থাকে, যেন রুক্মিণীর প্রতি আবার গোপালের অনুভূতি জাগা রাখে আটকাতে পারে সে।

সবাই রুক্মিণীকে খারাপ কথা শোনাচ্ছে দেখে পারুল বলতে বাধ্য হয় যে, জোড় করে ডিভোর্স এর কাগজে সই করানো হয়েছিল রুক্মিণীকে। গোপাল জানতে চায় কে এমনটা করেছে, রুক্মিণী জানায় তাঁর মা এবং কাকিমা। এরপর পারুল ডিভোর্সের কাগজ দেখতে চায়। কাকি নিজের ব্যাগে করে এনেও খুঁজে পাননা।
আসলে পারুল কাকির ছেলেকে বলে আগেই পুড়িয়ে ফেলেছে সেই কাগজ। পারুল বলে যখন কাগজই নেই, তখন ডিভোর্সের প্রমাণও নেই। এরপর অভিনন্দা রেগে গিয়ে বলে যে তাঁর বাড়িতে যে যা ইচ্ছা করতে পারবে না। তারপর রুক্মিণীর হাতটা টেনে নিয়ে ঘরের ভেতরে চলে যায়। তারপর রুক্মিণীকে একটা প্রতিজ্ঞা করতে বলে।
আরও পড়ুনঃ অপর্ণা নিখোঁজ! সন্দেহের তীর কিঙ্করের দিকে, গুলি চালাতে গিয়ে মৃ’ত্যুর মুখে আর্য! অপর্ণা হারিয়ে যেতেই হঠাৎ ভূমিকম্প, চারিদিকে ধ্বংসস্তূপে মিলল না কারও খোঁজ! কিঙ্কর খবর দিল, মা’রা গেছে আর্য-অপর্ণা!
অভিনন্দা বলে, রুক্মিণী যদি সারা জীবন গোপালকে ভালো রাখার প্রতিজ্ঞা করে তবেই সে গোপালকে ত্যাগ করবে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গোপাল আর রুক্মিণী বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয় অভিনন্দা। সবাই তার এই উদারতার প্রশংসা করে। নিজের সমস্ত শাড়ি গয়না দিয়ে রুক্মিণীকে বিয়ের সাজে তৈরি করে আনে সে।
এরপর ভালো লগ্ন দেখে গোপাল রুক্মিণীর বিয়েটা হয়। মল্লার ভিডিও কল করে বসু বাড়ির সবাইকে সেটা দেখায়। বাড়ির সবাই খুশি রুক্মিনীর বিয়েতে, শুধু তার মা রেগে কষ্টে ফেটে পড়ছেন। পরদিন লন্ডন থেকে রুক্মিণীকে ফিরিয়ে আনতে পারুল যে টাকা খরচ করেছে, দাদু সেই টাকা ফিরিয়ে দেয়। আর কি চাই জানতে চায় দাদু খুশি হয়ে, পারুল রায়নকে নিয়ে মায়ের খোঁজে যাওয়ার অনুমতি চায়।