জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, সদাশিবের খু’ন হওয়ার জন্য পারুল নিজেকে দায়ী করছে। শুধুমাত্র নিজের মায়ের খোঁজে বেরিয়ে যে একের পর এক বিপদে পড়বে বা নিরীহ লোকেরা প্রাণ হারাবে, সেই কথা পারুল স্বপ্নেও ভাবেনি। রায়ান পরামর্শ দেয় যে ফিরে যেতে, কিন্তু পারুল একটা না একটা তথ্য না নিয়ে ফিরব না।
পুলিশ পারুল-রায়ানকে জানায়, তারাও এখন সদাশিবের খু’নের তদন্তে সাহায্য করবে। রায়ান পারুলকে বলে, না ফিরে গেলেও একটা নিরাপদ জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পারুল আর তার বাবা ঠিক থাকেন। রায়ান বলে, একবার শিরীনের বাবাকে ফোন করতে। যেহেতু ওনার এখানে অনেক পরিচিতি আছে, উনি সাহায্য করতে পারেন। পারুল সেই মতো শিরীনের বাবাকে ফোন করে সদাশিবের ব্যাপারটা জানায়।

সেই সঙ্গে পারুল থাকার জায়গা খুঁজে দিতে অনুরোধ করে। এদিকে শিরীনের মা আবার নতুন ফন্দী এঁটে ফেলেছেন, কি করে পারুল আর তার বাবাকে মারা যায় এই নিয়ে। গুন্ডাদের টাকা দিয়ে তিনি নির্দেশ দেন, যেন রায়ানের কোনও ক্ষতি না করে তারা, শুধুমাত্র পারুলদেরই মারতে। ওদিকে রাতে পারুল আর বাবা এক ঘরে ঘুমাচ্ছে। বসু বাড়িতে ঠাম্মী মাঝ রাতে দেখেন, পারুদের কয়েকজন ব্যক্তি মিলে মেরে ফেলেছে।
ভয়ে তিনি কি করবেন বুঝতে পারেন না, দাদু পরামর্শ দেয় পারুলকে একটা ফোন করে নিতে। পারুলকে ফোন করে ঠাম্মী জানতে চান তারা সুস্থ আছে কি না। পারুল জানায় সবকিছু ঠিকই আছে। ঠাম্মী তাও পারুলকে সাবধানে থাকতে বলে। অন্যদিকে, শিরীনের মায়ের লোকেরা পারুলদের এসিতে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ রেখে দেয়। যাতে এসি চালাতেই পারুল এবং বাবা বি’ষক্রিয়া’র মারা যায়।
আরও পড়ুনঃ “আমায় যেদিন বলবে আমি সেদিনই রাজি, কোনও পিছুটান নেই।” “আজকের যুগের মেয়ে হয়ে আমার দ্বিতীয় সম্পর্ক নেই, অঙ্কুশ কতজনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে…”— ঐন্দ্রিলার কথায় জোরালো ইঙ্গিত! বক্তব্যে স্পষ্ট অঙ্কুশের দ্বিধা, তাই কি বারবার আটকে যাচ্ছে বিয়ে? সম্পর্কে এসেছে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি?
কিন্তু পারুল কিছুতেই এসি চালাচ্ছে এনএস দেখে খুব চিন্তায় পড়ে যান শিরীনের মা এবং শিরীন। অবশেষে পারুল এসি চালাতেই গেলে, দরজায় কেউ একটা এসে উপস্থিত হয়। দরজা খুলতেই পারুল দেখে শিরীনের বাব! তিনি ঘরের ভেতরে যেতেই পারুল এসি চালিয়ে দেয়, এদিকে নিজের স্বামীকে নিজের হাতে মেরে ফেলার অপরাধবোধে ভেঙে পড়ে শিরীনের মা!