বড়বাজার থেকে গ্রেফতার হয়েছেন অভিনেত্রী রূপা দত্ত। অভিযোগ, তিনি এক মহিলার ব্যাগ ও পার্স চুরি করে পালাচ্ছিলেন। ব্যাগের মধ্যে ছিল সোনার গয়না ও নগদ টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ, রূপা দত্ত একসময় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে কাজ করেছিলেন, এবং প্রতিবার তাঁর নাম কোনো বিতর্কে জড়ালেই “অঙ্কুশের নায়িকা” শব্দটি বারবার উঠে আসে শিরোনামে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ১৫ অক্টোবর এক মহিলার ব্যাগ চুরি হয়। তাতে ছিল প্রায় কুড়ি গ্রাম ওজনের সোনার মঙ্গলসূত্র, বৈষ্ণোদেবী লকেট-সহ একটি চেন, দুটি সোনার ব্রেসলেট এবং নগদ চার হাজার টাকা। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত ছিলেন রূপা দত্ত। শেষ পর্যন্ত তাঁকে তাঁর বাড়ির এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
রূপার নাম সামনে আসতেই অঙ্কুশ হাজরাকে ঘিরে শুরু হয় নতুন আলোচনা। অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি স্পষ্ট জানালেন, এই “অঙ্কুশের নায়িকা” ট্যাগ তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে। অঙ্কুশের কথায়, “বিরক্ত লাগে একারণে যে, মনে হয় আমিই ওকে মানুষ করেছি। ওর কাজের দায় আমি কেন নেব? ওর যা শিক্ষা, সংস্কার, সেটা ওর নিজের। আমি তো শুধু সহ-অভিনেতা ছিলাম।”
আরও পড়ুনঃ আর্টিস্ট চোর! বড়বাজারে গয়না চুরি বাঙালি অভিনেত্রীর! ২২শের পর ২৫ সালে ফের গ্রেপ্তার অভিনেত্রী রূপা দত্ত, উদ্ধার সোনার গয়না ও নগদ টাকা!
তিনি আরও বলেন, “মানুষ চেনার সুবিধার জন্যই হয়তো মিডিয়া আমার নাম টেনে আনে। কেউ লিখে ‘অঙ্কুশের নায়িকা’, কেউ বলে ‘কেল্লাফতের নায়িকা’। যাতে পাঠক বুঝতে পারে কে এই রূপা দত্ত। কিন্তু যখন দেখি ওর নামের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে যাচ্ছে এমন ঘটনার জন্য, তখন খারাপ লাগে। মনে হয়, ওর এসব কাজের পেছনেও নাকি আমারই হাত!”
শেষে অঙ্কুশ জানালেন, তিনি এ ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত, কিন্তু দায় নিতে নারাজ। “ওর কাজ ওর পরিচয়। আমার নয়,” বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন অভিনেতা।
